আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী।
বিধায়কের দ্বারস্থ হলেন সামাজিক বয়কটের শিকার যুবক শুভজ্যোতি ও তাঁর মা গীতা বসু। বৃ্হস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর সাহায্য চান তাঁরা। সৌরভবাবু বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ওই পরিবারকে যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয় সেটা অবশ্যই দেখব। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন কে ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য বলেছি।’’
সোস্যাল মিডিয়ায় গাছ চুরি সহ এলাকার বিভিন্ন অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করায় জয়ন্তীর যুবক শুভজ্যোতি ও তাঁর বিধবা মা সামাজিক বয়কটের শিকার হন বলে অভিযোগ। আলিপুরদুয়ারের প্রত্যন্ত এলাকায় রীতিমত সালিশি সভা বসিয়ে তাদের সামাজিক বয়কটের ফতোয়া দেওয়া হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় কিছু মাতব্বরের বিরুদ্ধে কালচিনি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান তাঁরা। এই ফতোয়া দেওয়ার পর থেকে কোনও দোকানি তাদের কাছে কোনও সামগ্রী বিক্রি করছেন না। ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁদের কাছে কোনও জিনিস বিক্রি করলে তাদের দোকান জ্বালিয়ে দেবে ওই মাতব্বরেরা। সাহায্য চেয়ে স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান রেনা লামার কাছে তাঁরা লিখিত আবেদন জানানোর পর বুধবার তিনি নিজে এসে গ্রামবাসীদের নিয়ে সভা করেন। পরে বলেন, ‘‘গ্রামবাসীরা যাতে কোনও ভাবে ওই পরিবার কে সামাজিক বয়কট না করেন সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ বৃহস্পতিবার শুভজ্যোতি বলেন, “আজ বিস্কুট কিনতে গেলে আমাকে সমস্ত দোকান ফিরিয়ে দেয়।
আমাদের সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়েছে। আমাদের জলের লাইন কেটে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রীতিমত অসহায় ভাবে জীবন কাটাচ্ছি। বিচার চেয়ে তাই বিধায়কের দারস্থ হয়েছি।”স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানবিক মুখ’ এর সম্পাদক রাতুল বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই ধরনের অন্যায় কোনও ভাবে মানা যায় না। ওই মাতব্বরদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আমরা শুভজ্যোতির পাশে আছি।”