এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এর পর ওই বধূর দেহ এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার লতাসি গ্রামে।
পুলিশ এবং মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত বধূর নাম খালিদা খাতুন (২৪)। প্রায় আট বছর আগে হরিশ্চন্দ্রপুরের রাঙ্গাপুর এলাকার আব্দুল লতিফের মেয়ে খালিদার সঙ্গে একই গ্রামের মহম্মদ আলির বিয়ে হয়। ওই দম্পতির এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।
গৃহবধূর বাড়ির সদস্যেরা জানাচ্ছেন, শনিবার মেয়ের শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পান, তাঁদের মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে মশালদহ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তড়িঘড়ি বধূর পরিবারের সদস্যেরা সেখানে ছুটে যান। কিন্তু গিয়ে দেখা যায়, মেয়ে মশালদহেরই একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রয়েছেন, কিন্তু মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা কেউ সেখানে উপস্থিত নেই! পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বধূকে রেখে চম্পট দিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা। এর পরেই দ্রুত মেয়েকে নিয়ে গিয়ে মশালদহ গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছন বাবা-মা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক খালিদাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এর পরেই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ তুলেছেন খালিদার বাবা আব্দুল লতিফ। তাঁর দাবি, মেয়ের গায়ে বেশ কয়েকটি ক্ষতচিহ্নও রয়েছে। গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ওই বধূর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির মোট আট জন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ জানিয়েছে, বধূর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগও জমা পড়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তেরা সকলেই পলাতক। তাঁদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।