বিস্ফোরক পরীক্ষা করছে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র
ক’দিন আগে জোরদার তল্লাশির পরে ঘটা করে যে ঘর ‘সিল’ করেছিল শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার পুলিশ, ফের সেখান থেকে উদ্ধার হল ১৩০০ ডিটোনেটর।
পুলিশের দাবি, মঙ্গলবার জেরার মুখে ধৃতরা ওই ঘরের কাঠের আলমারিতে বিস্ফোরক থাকার কথা জানালে দ্বিতীয় দফায় তল্লাশি হয়। কিন্তু, ওই আলমারি কেন প্রথম দফার তল্লাশিতে খুলে দেখা হয়নি সেই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। ওই আলমারি থেকে দু’টি মোবাইল ফোন ও মেমরি কার্ডও পাওয়া গিয়েছে। ফলে, পুলিশ গিয়ে গোড়ার দিকে দায়সারা তল্লাশি চালিয়েছিল কি না তা নিয়ে অফিসার ও কর্মীদের একাংশের মধ্যেও আলোচনা শুরু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির ডিসি (সদর) ইন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ধৃতদের টানা জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি করে আবার ডিটোনেটর মিলেছে। তবে তা এমনভাবে ক্যাবিনেটের ভিতরে লুকোনো ছিল, সাধারণভাবে তা বোঝার উপায় ছিল না। ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র সরিয়ে খুলে দেখার সময় তা মিলেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বিভিন্ন সূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
গত শনিবার রাতে, ওই ঘরের কাঠের নিচ থেকে ৬০৯টি জিলেটিন স্টিক, ২০০ ডিটোনেটর এবং ৬৩০ মিটার কর্ডেক্স তার উদ্ধার হয়েছিল। ছটপুজোর দিন ঘরটি পুলিশ সিলও করে দিয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুলিশ ধৃতদের গ্রেফতারের পর বাড়িটিতে নিয়ে এসেছিল। সেখানে একটিমাত্র ঘরে তল্লাশি করে বিস্ফোরক উদ্ধার হল। ঘরটি তালাবন্ধ করা হল। তার পরে ফের সেই ঘর থেকেই আবার বিস্ফোরক মিলল। মোবাইল টেলিফোন মিলল। কয়েকজন বাসিন্দার বক্তব্য, প্রথম দিন সঠিক তল্লাশি হলে সব জানা যেত।
এ দিন দুপুরে ডিআইজি সিআইডি কলকাতা থেকে এসে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তেমনিই, অসম পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের একটি দল শিলিগুড়ি পৌঁছে প্রধাননগর থানায় ধৃত দাওয়ার শেরিং ভোটে, পূজা লিম্বু এবং কৃষ্ণবাহাদুর অধিকারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ডিসি সদর জানান, ধৃতদের সঙ্গে নেপালের যোগাযোগ মিলেছে। চক্রের মূল পান্ডা হিসাবে নেপালের বিত্তামোড়ের বাসিন্দা ফুফু নামের এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। তেমনিই, মেঘালয়ের খনি থেকে যে চোরাপথে জিলেটিন স্টিক ও তার আনা হয়েছে শিলিগুড়িতে সেই তথ্যও মিলেছে। সেই সূত্রগুলি খতিয়ে দেখতেই সিআইডি এবং অসম পুলিশের আধিকারিকরা এসেছেন।