পরীক্ষাকেন্দ্র সরলো চাঁচল কলেজ থেকে

গত বছর টুকলি করা ঘিরে তুলকালাম কাণ্ডের পর এ বার মালদহের চাঁচল কলেজ থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রই তুলে দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার থেকে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। চাঁচল কলেজ থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র তুলে দেওয়ার পাশাপাশি এ বারই প্রথম হরিশ্চন্দ্রপুরে নতুন পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৫ ০২:৩০
Share:

গত বছর টুকলি করা ঘিরে তুলকালাম কাণ্ডের পর এ বার মালদহের চাঁচল কলেজ থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রই তুলে দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার থেকে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। চাঁচল কলেজ থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র তুলে দেওয়ার পাশাপাশি এ বারই প্রথম হরিশ্চন্দ্রপুরে নতুন পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক সনাতন দাস বলেন, “এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। এর বেশি বলার কিছু নেই।”

গত বছর ইতিহাস পরীক্ষার দিন টুকলির অভিযোগে একযোগে ৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল করার ঘটনাকে ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড বাধে চাঁচল কলেজে। কেন টোকাটুকিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সেই অভিযোগ তুলে কলেজে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। উত্তরপত্র ছিঁড়ে দেওয়ায় বাধা দিতে গেলে বেশ কিছু ছাত্রকে মারধরের পাশাপাশি দুই শিক্ষককেও মারধর করার অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষার হলের ভিতরে মারমুখী হামলাকারীদের দেখে ভয়ে হল ছেড়ে পালান পরীক্ষার্থীরা। হলে তাণ্ডব চালিয়ে তারা কলেজের অধ্যক্ষ ও অফিস ঘরেও চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

Advertisement

টুকলি রুখতে গত বছর থেকেই কলেজগুলিতে হোম সেন্টারের ব্যবস্থা তুলে দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বছর চাঁচল কলেজে হরিশ্চন্দ্রপুর ও সামসি কলেজের পড়ুয়াদের পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল। তার পরেও ওই ঘটনায় এ বার আর চাঁচল কলেজে পরীক্ষাকেন্দ্র করার ঝুঁকি নেওয়া হয়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে। এ দিকে এ বার হরিশ্চন্দ্রপুরের নতুন পরীক্ষাকেন্দ্রে আসন পড়েছে সামসি কলেজের ছাত্রছাত্রীদের। হরিশ্চন্দ্রপুরের পড়ুয়ারা পরীক্ষায় বসছেন সামসি পরীক্ষাকেন্দ্রে। চাঁচলে পরীক্ষাকেন্দ্র না হওয়ায় দূরত্বের নিরিখে দুই কলেজের পরীক্ষার্থীদেরই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানান পরীক্ষার্থীরা। চাঁচল কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহবুব বলেন, “এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত। গত বছরের ঘটনার পর এ বার আর ওঁরা চাঁচলে পরীক্ষাকেন্দ্র করার ঝুঁকি নিতে চাননি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement