ফাইল চিত্র।
মালদহে দুই শতাধিক করোনা আক্রান্তের তালিকায় বেশির ভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। আর তাঁদের বড় অংশই জেলায় ফিরেছেন ট্রেনে চেপে। মালদহ টাউন স্টেশন থেকে আবার বাসে করে তাঁদের ফেরানো হচ্ছে নিজেদের এলাকায়। শুক্রবারও একাধিক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন পৌঁছয় টাউন স্টেশনে। এই ফেরা নিয়েও উদ্বেগে রয়েছেন স্টেশন সংলগ্ন ইংরেজবাজার শহরের বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, স্টেশন সংলগ্ন এলাকা স্যানিটাইজ় করতে উদ্যোগী হচ্ছে না পুরসভা, প্রশাসন থেকে শুরু করে রেল। যদিও এলাকা স্যানিটাইজ করা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুরসভা।
স্টেশন চত্বরেই রয়েছে ইংরেজবাজারের ২২, ২৩, ২৬, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড। ১৬ মে থেকে ভিন্ রাজ্য থেকে স্টেশনে আসতে শুরু করেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্পেশাল ট্রেন। মালদহ ছাড়াও দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদের শ্রমিকদেরও নামানো হচ্ছে টাউন স্টেশনেই। তার পরে বাসে করে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গন্তব্যে। তাঁদের দাবি, বাসের জন্য অপেক্ষারত শ্রমিকদের একাংশ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন দোকানেও যাচ্ছেন।
২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, “জেলায় করোনা আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশই পরিযায়ী শ্রমিক। অধিকাংশ পরিযায়ী শ্রমিক ট্রেনে করেই বাড়ি ফিরেছেন। এখানে পুরসভা, প্রশাসন, রেলের উচিত দৈনিক এলাকাগুলি স্যানিটাইজ় করা।” দৈনিক তো দূরের কথা, সপ্তাহে একদিনও স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রেল সূত্রে জানি গিয়েছে, আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত টাউন স্টেশনে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন আসার কথা রয়েছে। এ দিনও ভিন্ রাজ্য থেকে একাধিক ট্রেন পৌঁছয়। আর নিয়মিত স্টেশন স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
যদিও স্টেশন সংলগ্ন এলাকাও স্যানিটাইজ় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুরসভা। ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দুলাল সরকার বলেন, “দমকলের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়ার্ড স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে। স্টেশন সংলগ্ন এলাকাগুলিও স্যানিটাইজ় করা হবে।”