কর্মচারী সমিতির নির্বাচন ঘিরে তপ্ত ক্যাম্পাস

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। আগামী ১৭ জুন সমিতির নির্বাচন করার কথা জানিয়েছে বিদায়ী কমিটি। বিরোধী গোষ্ঠীর অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে সমস্ত সদস্যদের নিয়ে সাধারণ সভা ডাকা উচিত। তা না করে অবৈধভাবে জোর খাটিয়ে নির্বাচনের ওই দিন ঠিক করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৬ ০২:১২
Share:

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। আগামী ১৭ জুন সমিতির নির্বাচন করার কথা জানিয়েছে বিদায়ী কমিটি। বিরোধী গোষ্ঠীর অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে সমস্ত সদস্যদের নিয়ে সাধারণ সভা ডাকা উচিত। তা না করে অবৈধভাবে জোর খাটিয়ে নির্বাচনের ওই দিন ঠিক করা হচ্ছে।

Advertisement

মেয়াদ ফুরনোয় দ্রুত নির্বাচনের বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক ডাকে বিদায়ী কমিটি। সে সময় সমিতির অফিসে বাম বিরোধী সদস্যরা এবং তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির লোকজনের একাংশ হামলা চালায়, ভাঙচুর করে, সমিতির বিদায়ী সাধারণ সম্পাদককে মারধর করে বলে অভিযোগ। বুধবার ওই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে কর্মীদের মধ্যে প্রচারে নেমে পড়েছেন দুই পক্ষই। তা নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে।

বাম বিরোধীরা এ দিন প্রশাসনিক ভবনে জড়ো হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা নিয়ে সরব হন। প্রশাসনিক ভবনের করিডরে মাইক লাগিয়ে সভা করার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু উপাচার্য তাঁদের ফোনে জানিয়েছেন তিনি কাজে বাইরে রয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যে ফিরে আলোচনায় বসবেন। সেই মতো এ দিন আর প্রতিবাদ সভা করেননি দেবীপ্রসাদ বুট, শঙ্কর ঘোষদের গোষ্ঠীরা। তবে এ দিন তাঁরাও বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে কর্মীদের বোঝান বিদায়ী গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর অন্যায় ভাবে এসব করছেন। মেয়াদ ফুরনোর আগেই তাদের বিষয়টি করা উচিত ছিল। এখন সাধারণ সভা ডাকার পরিবর্তে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্যায় ভাবে নির্বাচন করতে চাইছেন। তা ছাড়া কিছু কর্মী সংগঠনের সদস্য হতে চেয়ে ১০ মাস আগেই আবেদন করেছেন। অন্য সংগঠন থেকে তারা আসছেন বলে তাদের সদস্য করা হচ্ছে না বলে অভিয়োগ ওই গোষ্ঠীর অন্যতম অপূর্ব পালের। বাম বিরোধী গোষ্ঠীর পক্ষে একমাত্র অপূর্ববাবুই সহকারী সাধারণ সম্পাদকের পদে আগের নির্বাচনে জিতেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘যাঁরা অন্য সংগঠন ছেড়ে সদস্য হতে চেয়েছিলেন তাঁদের না নিতে চাইলে আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। সে জন্য আমাকে সমিতি ছেড়ে বের হয়ে যেতে বলা হয়। ওঁরা সংখ্যা গরিষ্ঠ থাকায় আমাকে অপদস্থ করতে নিন্দাপ্রস্তব আনে।’’

Advertisement

গত ১৩ মে বাম মনোভাবাপন্নদের দখলে থাকা পুরনো কর্ম সমিতির দুই বছরের মেয়াদ ফুরিয়েছে। ওই সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন চট্টোপাধ্যায়ের অভিয়োগ, ‘‘তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির লোকজনদের নিয়ে বিরোধী গোষ্ঠী সমিতি দখল করতে চাইছে।’’ তাদের নামে মিথ্যে প্রচারের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী গোষ্ঠী এবং তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতির কর্মকর্তারা।

সুমনবাবু জানান, আগামী ১৭ জুন নির্বাচের দিন ঠিক হয়েছে। গত কাল হামলার ঘটনার পর কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্যরা আলোচনা করে ঠিক করেছেন। তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির আহ্বায়ক গুরুচরণ রায় ক্যাম্পাস ইনচার্জ দ্যুতিষ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছেন, ওই গোলমালের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। মিথ্যে তাদের জড়ানো হচ্ছে। মিথ্যে তাঁদের নাম জড়ানোর দাবি তুেল এ দিন তারা কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement