পুজোর মুখে পর্যটক টানতে হাতি সাফারির সুযোগ বাড়ছে উত্তরবঙ্গে। বন দফতর সূত্রের খবর, ডুয়ার্সের বড়ডাবরির মালঙ্গি বন বাংলোর পাশাপাশি শিলিগুড়ির কাছে শালুগাড়ায় তৈরি বেঙ্গল সাফারি পার্কে ওই বাড়তি সুযোগ মিলবে।
এই সাফারির জন্য ইতিমধ্যে ইতিমধ্যে চারটি প্রশিক্ষিত হাতি চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি হাতি দেওয়া হবে বন উন্নয়ন নিগমকে। ডুয়ার্সের বড়ডাববির মালঙ্গি বন বাংলোটি নিগম কর্তৃপক্ষের অধীনে। সেখানে দীর্ঘ দিন থেকেই একটি মাত্র হাতি পর্যটকদের জঙ্গল সাফারির জন্য নির্দিষ্ট ছিল। ফলে আগ্রহী পর্যটকদের অনেকেই হাতি সাফারির সুযোগ পেতেন না। ওই সমস্যা মেটাতে নিগমের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরেই বনমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। তার পরে নিগমের ওই বন বাংলোর জন্য অতিরিক্ত দু’টি হাতির ব্যবস্থা করা হয়। অন্যদিকে বেঙ্গল সাফারি পার্কটিতেও হাতি সাফারির সুযোগ ছিল না। এই কারণে অনেকে আক্ষেপও করতেন।
রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য সবরকম চেষ্টা হচ্ছে।’’ বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ বলেন, “একটি মাত্র হাতি থাকায় মালঙ্গিতে অনেকেই সাফারির সুযোগ পাচ্ছেন না।’’ হাতির সংখ্যা বাড়ানোয় সেই সমস্যা মিটবে বলে তাঁর আশা। উত্তরের জলদাপাড়া ও বড়ডাবরি এলাকায় মূলত হাতি সাফারির সুযোগ পান পর্যটকেরা। গরুমারাতে সাফারির সুযোগ থাকলেও সেখানে শুধুমাত্র কালীপুর, ধূপঝোড়া বা রামসাই এলাকার বনবাংলোয় রাত্রিবাস করছেন এমন পর্যটকরাই সাফারি করতে পারেন। পুজোর সময় ছুটির মরসুমে চাহিদা ফি বছর বেড়ে যায়। নিগমের আলিপুরদুয়ার ডিভিসনের ম্যানেজার অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আগ্রহী সবাইকে একদিনে সাফারির সুযোগ দেওয়ায় সমস্যা হয়।’’ সুযোগ বাড়লে পর্যটকদের ভিড়ও বেড়ে যাবে বলে জানান তিনি। সরকারি সূত্রের খবর, মালঙ্গি বাংলোয় ১৪টি শয্যা রয়েছে। সেখানে আরও ১০টি শয্যা বাড়ান হচ্ছে। একটি হাতি সাফারিতে দিনে তিন দফায় বড়জোর ১২ জনের বেশি সুযোগ পাননা। পর্যটন ব্যবসায়ীদের আশা, বেঙ্গল ও মালঙ্গি নিয়ে এই পরিকল্পনায় ওই সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে।