elephant

Elephant: এলাকা দখল না কি সঙ্গিনীর প্রতি প্রেম? বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গলে সঙ্ঘাত দুই দাঁতালের

বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগের অন্তর্গত তিস্তা ক্যানালের ধারে এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন গজলডোবাগামী পর্যটক এবং পথচলতি মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২২ ১৭:৩৮
Share:

যুযুধান দুই দাঁতাল। নিজস্ব চিত্র।

গজলডোবার অদূরে জঙ্গল লাগোয়া তিস্তার সাব ক্যানাল। দু’পাশে দাঁড়িয়ে দুই দাঁতাল। প্রথমটির লক্ষ্য ক্যানাল পেরিয়ে উল্টো দিকের জঙ্গলে ঢোকা। দ্বিতীয় দাঁতাল সেই জঙ্গলে তাকে ঢুকতে দিতে নারাজ।

বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগের অন্তর্গত তিস্তা ক্যানালের ধারে এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করলেন গজলডোবাগামী পর্যটক এবং পথচলতি মানুষ। তবে নিছক এলাকা দখল না কি দুই দাঁতালের সঙ্ঘাতের পিছনে সঙ্গিনীর প্রতি প্রেমের টান রয়েছে, সে বিষয়ে সন্দিহান স্থানীয়দের একাংশ।

Advertisement

প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে ধরা হয় হাতিকে। বিভিন্ন সময় তার প্রমাণ মিলেছে। কখনো কল খুলে জল খাওয়া আবার কখনো হেঁসেলে গিয়ে খাবারে ‘বাটপাড়ি’। শোনা যায়, এলাকার দখলদারি নিয়ে হাতিদের মধ্যে বিরোধী বাধে প্রায়শই। সঙ্গিনীর মন পাওয়ার জন্য দুই পুরুষ হাতির লড়াইয়ের ঘটনাও বিরল নয়।

হাতিদের বিভিন্ন দলের মধ্যে একটি প্রধান দাঁতাল থাকে। তারাই নাকি দখলের লড়াই সামলান। যদিও বা দল পরিচালনা করে মহিলা হাতি। দখলের লড়াইয়ে বিভিন্ন সময় হাতি মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে।

Advertisement

তিস্তা ক্যানেলের দুই ধারে দুই দাঁতাল দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরেই প্রতিপক্ষকে মেপেছে। বৃংহণে প্রতিপক্ষকে চমকে দিতে চেয়েছে। ধুলো উড়িয়ে, এগিয়ে-পিছিয়ে শক্তি জাহির করতেও দেখা গিয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ এমন চলার পরে ‘অনুপ্রবেশকারী’ দাঁতাল তার সঙ্গীদের নিয়ে ফিরে যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement