রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য কোপ পড়ল বিদ্যুৎ সরবরাহে

বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর জন্য সপ্তাহে তিন দিন চার ঘণ্টা করে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকবে মালদহের চাঁচলে। এই অবস্থা চলবে একমাস। এ দিকে, প্রচন্ড গরমে হাঁসফাস অবস্থা বাসিন্দাদের। তার ওপর লোডশেডিং-সহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটও নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুত বণ্টন কোম্পানির তরফে ওই সিদ্ধান্তের কথা জেনে উদ্বেগের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। শুধু চাঁচল শহর নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৫ ০৩:০৭
Share:

বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর জন্য সপ্তাহে তিন দিন চার ঘণ্টা করে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকবে মালদহের চাঁচলে। এই অবস্থা চলবে একমাস। এ দিকে, প্রচন্ড গরমে হাঁসফাস অবস্থা বাসিন্দাদের। তার ওপর লোডশেডিং-সহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটও নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুত বণ্টন কোম্পানির তরফে ওই সিদ্ধান্তের কথা জেনে উদ্বেগের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। শুধু চাঁচল শহর নয়। একমাস ধরে গোটা ব্লকেই এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলবে বলে সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য বিদ্যুতের খুঁটি সরানো জরুরি। বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে বিষয়টি নিয়ে বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছে। বিকল্প কোনও রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়েই ওই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। মাইকে করে এলাকায় প্রচারের পাশাপাশি প্রশাসনের সবস্তরেও দফতরের সমস্যার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে বলে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে। চাঁচলের স্টেশন ম্যানেজার স্বরাজ দাস বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ চাঁচল শহরে রাস্তা চওড়া করছে। বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর জন্য তারা প্রয়োজনীয় অর্থও বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির দফতরে জমা করেছে। এই পরিস্থিতিতে গরমে সমস্যা হবে জেনেও দফতরকে বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’’

Advertisement

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, গত বছরের শেষেই চাঁচল শহরের ভিতরে পূর্ত দফতরের সামনে থেকে বারগাছিয়া পর্য়ন্ত ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের এক কিলোমিটার চওড়া করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বর্তমানে সড়কটি রয়েছে সাড়ে পাঁচ মিটার চওড়া। বাড়িয়ে তা দশ মিটার করা হবে। সে জন্য শহরের ভিতরে রাস্তার পাশে যে বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে তা সরানো জরুরি। গত বছরের শেষে জাতীয় সড়ক চওড়া করার কাজ শুরু হলেও বিদ্যুতের খুঁটি না সরানোয় তা মাঝপথে বন্ধ রাখতে হয়েছিল। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ মে থেকে ১৩ জুন পর্য়ন্ত বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার— সপ্তাহে তিনদিন করে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। সরবরাহ বন্ধ থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত। ভাবনাচিন্তা করেই এই সময় নির্ধারিত করা হয়েছে।

যদিও দফতরের ওই সিদ্ধান্তে উদ্বেগে শহরের বাসিন্দারা। তাঁদের ক্ষোভ, একেই প্রচন্ড গরম পড়েছে। গরম পড়তেই দিন ও রাতে একাধিকবার লোডশেডিং নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা ছাড়া রয়েছে লো ভোল্টেজের সমস্যাও। বুধবার মাঝরাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা এতটাই লোভোল্টেজ ছিল যে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফের ১০টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলে নাজেহাল হতে হবে বাসিন্দাদের। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির দাবি, খুঁটি এর মধ্যেই সরানো হয়েছে। তাতে তার লাগানো বাকি রয়েছে। বাসিন্দাদের দুর্ভোগ যাতে কম হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement