ফাইল চিত্র।
ভোটকর্মী রাজকুমার রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার আড়াই বছর পরে তাঁর স্ত্রীর হাতে নির্বাচন দফতরের তরফে আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় নিজের চেম্বারে রাজকুমারের স্ত্রী অর্পিতার হাতে ১০ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা।
ক্ষতিপূরণ পেয়ে এ দিন অর্পিতা নির্বাচন দফতর ও রাজ্য সরকারের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও, ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব হয়েছেন ‘রাজকুমার রায় হত্যার বিচার চাই মঞ্চ’-এর সদস্যরা।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার অর্পিতাদেবীকে সরকারি চাকরির পাশাপাশি ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। রাজ্য সরকারের সুপারিশ মেনে এ দিন রাজ্য নির্বাচন দফতর ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিল। মঞ্চের সদস্যরা কী বলছেন, তা নিয়ে মন্তব্য করব না।”
২০১৮ সালের ১৪ মে পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন ইটাহারে সোনারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ থেকে নিখোঁজ হয়ে যান প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার। পরের দিন রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরের বাসিন্দা রাজকুমারের ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ উদ্ধার মেলে। তাঁকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ তুলে ওই ঘটনার সিবিআই তদন্ত, দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার ও ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে এরপর রাজকুমার রায় হত্যার বিচার চাই মঞ্চ গড়ে তুলে আন্দোলনে নামেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। মঞ্চের আহ্বায়ক প্রিয়রঞ্জন পাল বলেন, “দেরিতে হলেও রাজকুমারবাবুর স্ত্রী ক্ষতিপূরণ পেলেন। তবে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলন চলবে।”
অর্পিতা বলেন, “ক্ষতিপূরণ পেয়ে আমি ও পরিবারের লোকেরা খুশি।”