ভূমিকম্পের ধাক্কা কোপ বসিয়েছে পর্যটকের ভিড়েও। গত বছরের ভূমিকম্পের পর থেকেই নেপাল জুড়েই পর্যটকের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে বলে সে দেশের সরকারি –বেসরকাপি মহল থেকে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতে উদ্যোগী হয়েছে পোখরার পর্যন সংস্থাগুলি। মূলত উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে পর্যটক টানতে সিকিম এবং উত্তরবঙ্গ সফর শুরু করেছে নেপালের পর্যটন সংস্থাগুলি। উত্তরবঙ্গের ট্যুর অপারেটরদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন এতোয়ার সঙ্গে গত শনিবার নেপালের সংস্থাগুলি মৌ স্বাক্ষর করেছে। সেই মৌ-চুক্তিতে দু’পক্ষের পর্যটন বিনিয়মের উল্লেখ্য রয়েছে। নেপাল পর্যটন বোর্ডের বরীষ্ঠ সদস্য তথা পোখরার আঞ্চলিক পর্যটন আধিকারিক সুরজ থাপা জানিয়েছেন, মূলত ট্যুর অপারেটরদের মাধঅযমেই পর্যটক টানার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এতে উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরদের পোখরা সহ লাগোয়া এলাকাগুলিতে ভ্রমণে পর্যটকদের উৎসাহ দেওয়ার আর্জি জানানো হবে। কেন ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই তাও জানানো হবে। সুরজবাবু বলেন, ‘‘ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যে কোনও সময়ে হতে পারে। তবে গত বছররে ভূমিকম্পে পোখরায় বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ভূমি্কম্পের পরে পর্যটন কেন্দ্র বিশেষ করে রিসর্টগুলিতে আপদকালীন ব্যবস্থা, অনান্য পরিকাটামো যথোপোযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। এ সবই ট্যুর অপারেটরদের বোঝানো হয়েছে।’’
পোখরা এবং লাগোয়া এলাকায় নানা পর্যটন কেন্দ্র সহ অন্নপূর্ণা সার্কিটের মতো সহজ ট্রেকিং পথও রয়েছে। এতোয়ার কার্যকরী সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘পোখরার পর্যটন সংস্থাগুলি বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছে। ওঁরা বেশি করে রাজ্যের পর্যটক চাইছেন। তাঁদের নানা সুযোগ-সুবিধে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন। আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রেও নেপালের অথবা নেপালে যাওয়া বিদেশি পর্যটকদের পাঠাতে উৎসাহী করবেন বলে কথা দিয়েছেন। আশা করছি এরপক্ষে দু’দেশেই পর্যটন প্রসারে সাহায্য হবে।’’