দূর থেকেই: আদালতের রায়ে রাস্তা থেকেই দেখতে হবে পুজো। কোচবিহারের একটি মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র
দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, মণ্ডপ হবে তিন দিক খোলা। সে-পথেই হেঁটে বেশিরভাগ উদ্যোক্তাই খোলামেলা মণ্ডপ তৈরি করছেন। সোমবার হাইকোর্ট রায় দিল, মণ্ডপের ভিতরে দর্শনার্থীরা ঢুকতে পারবেন না। ওই এলাকা থাকবে কন্টেনমেন্ট জ়োন। তা হলে কী হবে বাইরের চিত্র? রাস্তায় ভিড় হলে কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়েই এখন চিন্তায় পুলিশ-প্রশাসন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার সানা আকতার বলেন, “আমরা সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছি। রাস্তায় রাস্তায় টহল থাকবে। ট্র্যাফিক ব্যবস্থাতেও জোর দেওয়া হয়েছে। ভিড় জমতে দেওয়া হবে না।” কোচবিহার নিউটাউন ইউনিটের পুজো কমিটির কর্তা অভিষেক সিংহরায় জানান, আগাম এই সব ভেবেই তাঁরা ভ্রাম্যমাণ ট্যাবলো তৈরি করেছেন। প্রতিমা নিয়ে ওই ট্যাবলো পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবে। যাতে দর্শনার্থীরা মণ্ডপে সে ভাবে না আসেন। তিনি বলেন, “এর বাইরেও মণ্ডপের চারদিকে রাস্তা রয়েছে। বাইরে থেকে স্পষ্ট প্রতিমা দেখা যাবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দাগ কেটে দেওয়া হয়েছে।” প্রাথমিক শিক্ষক বিল্লোল সরকার বলেন, “পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রত্যেকবারই পুজো দেখি। এ বার সাবধান থাকব। আমার মনে হয়, বাড়ি থেকেই পুজো উপভোগ করা ভাল।”
আলিপুরদুয়ার
হাইকোর্টের নির্দেশে মণ্ডপ খালি রাখা গেলেও ব্যারিকেডের বাইরে ভিড় জমলে তা কী করে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, সেই প্রশ্নেই এখন চিন্তিত আলিপুরদুয়ার প্রশাসন। এ দিন হাইকোর্টের রায়ের পরেই আলিপুরদুয়ারের কোনও কোনও পুজো মণ্ডপের বাইরে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, ব্যারিকেডের বাইরে ভিড় জমলে সেখান থেকেও সংক্রমণের আশঙ্কা। এমন হলে জেলার সর্বত্র সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা তাদের একার পক্ষে আদৌ সম্ভব কি না, সেই প্রশ্নও দানা বাঁধছে পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের মনে। বিষয়টি নিয়ে বারবার চেষ্টা করা হলেও এসপি অমিতাভ মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ব্যারিকেডের ভিতরটা দর্শকশূন্য রাখার সঙ্গে বাইরের ভিড় আটকাতেও উদ্যোক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে।” আলিপুরদুয়ার বাবুপাড়া ক্লাবের সম্পাদক অভিষেক কর্মকার বলেন, “ব্যারিকেডের বাইরে ভিড় এড়াতে আমরা যতটা বেশি সম্ভব স্বেচ্ছাসেবক রাখার চেষ্টা করছি।” মহকুমাশাসক রাজেশ বলেন, “হাইকোর্টের রায় এখনও হাতে আসেনি। পুজো ঘিরে কোথাও যাতে ভিড় না হয়, তা অবশ্যই দেখা হবে।”
জলপাইগুড়ি
পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীরা ঢুকতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে মণ্ডপে ভিড় হবে না। কিন্তু সেই ভিড় রাস্তায় নামার, রেস্তরাঁয় ঢোকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে প্রশাসন। তা থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, ভিড়, জটলা রুখতে কড়া নজরদারি থাকবে। বিধি নিয়ে চলবে সচেতনতার প্রচারও। জলপাইগুড়ি জেলায় চারশোরও বেশি দুর্গাপুজো হয়। কোতোয়ালি থানা এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে দেড়শোর বেশি দুর্গা পুজো হয়ে থাকে। পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের জমায়েত হয়ে থাকে। এ বার যেটা চিন্তার কারণ। জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তায় ও দোকানে বাড়তি নজরদারি করবে পুলিশ। এর জন্য আলাদা করে পুলিশের টহলদারি দল তৈরি হবে। ভিড়ের খবর পেলেই পৌঁছে যাবে পুলিশ। মহুরিপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক উত্তম বসু বলেন, ‘‘হাইকোর্ট এবং প্রশাসনের নিয়ম মেনে পুজো হবে। আমরা করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রচার করব। পুজোর দিনে দু’বেলা করে রাস্তা জীবাণুমুক্ত করা হবে।’’ জলপাইগুড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে কাজ করা হবে। ভিড় ও জটলা করা যাবে না। এর জন্য সচেতনতা যেমন চলবে তেমনি পুলিশ নজরদারি চালাবে।’’
কোচবিহার
দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, মণ্ডপ হবে তিন দিক খোলা। সে-পথেই হেঁটে বেশিরভাগ উদ্যোক্তাই খোলামেলা মণ্ডপ তৈরি করছেন। সোমবার হাইকোর্ট রায় দিল, মণ্ডপের ভিতরে দর্শনার্থীরা ঢুকতে পারবেন না। ওই এলাকা থাকবে কন্টেনমেন্ট জ়োন। তা হলে কী হবে বাইরের চিত্র? রাস্তায় ভিড় হলে কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়েই এখন চিন্তায় পুলিশ-প্রশাসন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার সানা আকতার বলেন, “আমরা সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছি। রাস্তায় রাস্তায় টহল থাকবে। ট্র্যাফিক ব্যবস্থাতেও জোর দেওয়া হয়েছে। ভিড় জমতে দেওয়া হবে না।” কোচবিহার নিউটাউন ইউনিটের পুজো কমিটির কর্তা অভিষেক সিংহরায় জানান, আগাম এই সব ভেবেই তাঁরা ভ্রাম্যমাণ ট্যাবলো তৈরি করেছেন। প্রতিমা নিয়ে ওই ট্যাবলো পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবে। যাতে দর্শনার্থীরা মণ্ডপে সে ভাবে না আসেন। তিনি বলেন, “এর বাইরেও মণ্ডপের চারদিকে রাস্তা রয়েছে। বাইরে থেকে স্পষ্ট প্রতিমা দেখা যাবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দাগ কেটে দেওয়া হয়েছে।” প্রাথমিক শিক্ষক বিল্লোল সরকার বলেন, “পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রত্যেকবারই পুজো দেখি। এ বার সাবধান থাকব। আমার মনে হয়, বাড়ি থেকেই পুজো উপভোগ করা ভাল।”
আলিপুরদুয়ার
হাইকোর্টের নির্দেশে মণ্ডপ খালি রাখা গেলেও ব্যারিকেডের বাইরে ভিড় জমলে তা কী করে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, সেই প্রশ্নেই এখন চিন্তিত আলিপুরদুয়ার প্রশাসন। এ দিন হাইকোর্টের রায়ের পরেই আলিপুরদুয়ারের কোনও কোনও পুজো মণ্ডপের বাইরে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, ব্যারিকেডের বাইরে ভিড় জমলে সেখান থেকেও সংক্রমণের আশঙ্কা। এমন হলে জেলার সর্বত্র সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা তাদের একার পক্ষে আদৌ সম্ভব কি না, সেই প্রশ্নও দানা বাঁধছে পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের মনে। বিষয়টি নিয়ে বারবার চেষ্টা করা হলেও এসপি অমিতাভ মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ব্যারিকেডের ভিতরটা দর্শকশূন্য রাখার সঙ্গে বাইরের ভিড় আটকাতেও উদ্যোক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে।” আলিপুরদুয়ার বাবুপাড়া ক্লাবের সম্পাদক অভিষেক কর্মকার বলেন, “ব্যারিকেডের বাইরে ভিড় এড়াতে আমরা যতটা বেশি সম্ভব স্বেচ্ছাসেবক রাখার চেষ্টা করছি।” মহকুমাশাসক রাজেশ বলেন, “হাইকোর্টের রায় এখনও হাতে আসেনি। পুজো ঘিরে কোথাও যাতে ভিড় না হয়, তা অবশ্যই দেখা হবে।”
জলপাইগুড়ি
পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীরা ঢুকতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে মণ্ডপে ভিড় হবে না। কিন্তু সেই ভিড় রাস্তায় নামার, রেস্তরাঁয় ঢোকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে প্রশাসন। তা থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, ভিড়, জটলা রুখতে কড়া নজরদারি থাকবে। বিধি নিয়ে চলবে সচেতনতার প্রচারও। জলপাইগুড়ি জেলায় চারশোরও বেশি দুর্গাপুজো হয়। কোতোয়ালি থানা এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে দেড়শোর বেশি দুর্গা পুজো হয়ে থাকে। পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের জমায়েত হয়ে থাকে। এ বার যেটা চিন্তার কারণ। জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তায় ও দোকানে বাড়তি নজরদারি করবে পুলিশ। এর জন্য আলাদা করে পুলিশের টহলদারি দল তৈরি হবে। ভিড়ের খবর পেলেই পৌঁছে যাবে পুলিশ। মহুরিপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক উত্তম বসু বলেন, ‘‘হাইকোর্ট এবং প্রশাসনের নিয়ম মেনে পুজো হবে। আমরা করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রচার করব। পুজোর দিনে দু’বেলা করে রাস্তা জীবাণুমুক্ত করা হবে।’’ জলপাইগুড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে কাজ করা হবে। ভিড় ও জটলা করা যাবে না। এর জন্য সচেতনতা যেমন চলবে তেমনি পুলিশ নজরদারি চালাবে।’’