প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে লোকসভা। মালদহে ভিত মজবুত করেছে বিজেপি। একের পর এক নির্বাচনে মালদহে বিজেপির জয়জয়কার হয়েছে। বিজেপির এই ভিত মজবুত করতে আড়াল থেকে কারিগর হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ কাজ করে গিয়েছে বলে দাবি নেতৃত্বের একাংশের। কিন্তু উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে লোকসভায় বিপুল ভোটে এগিয়ে থেকেও তৃণমূলের কাছে হারতে হয়েছে বিজেপিকে। এই ফলে মালদহে সঙ্ঘ পরিবারের নিচুতলার কর্মীদের মনোবলে প্রভাব পড়বে বলে মত বিজেপিরই একাংশ নেতৃত্বের।
রাজনীতিতে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মালদহ। কংগ্রেসের সঙ্গেই বরাবরই জেলায় টক্কর হয়েছে বামেদের। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরেও বদলায়নি জেলার সেই ছবি। পরিবর্তনের পরেও ২০১৪ সালের লোকসভা, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ঝুলি ছিল শূন্য। এমনকি, দুই নির্বাচনেই কোথায় তিন, কোথাও চার নম্বরে ছিল তৃণমূল। তবে ২০১৪ সাল থেকেই পদ্মের প্রভাব বাড়তে শুরু করে মালদহে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ মালদহে বাম, তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। এমনকি, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ মালদহের বৈষ্ণবনগর আসনটিতে জয়ী হয় বিজেপি।
গেরুয়া শিবিরে কান পাতলেই শোনা যাবে বিজেপি সাফল্যের চাবিকাঠি কী? বিজেপির এক নেতার কথায়, “জেলায় ২ হাজার ২৮৫টি বুথ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় নশো বুথেই আমাদের বুথ কমিটি নেই। আর অনেক জায়গায় একজন মাত্র কর্মীকে কনভেনার করে গঠন করা হয়েছে বুথ কমিটি।” তারপরেও ভোট বাড়ছে কিভাবে? বিজেপি নেতাদের একাংশ বলেন, “বিজেপি থেকে সঙ্ঘের বুথ কমিটির সংখ্যা জেলায় বেশি। আর সেই কমিটিগুলি সরাসরি ভোট প্রচার না করলেও মানুষের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন সংঘের সদস্যেরা। যার প্রভাব পড়ছে ভোট বাক্সে।”
কখনও ভারতমাতার পুজো, কখনও পিতৃমাতৃ পুজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে গ্রামে গ্রামে। এমনকি চলছে প্রাথমিক স্কুল। এছাড়া প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে ভ্রাম্যমান কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। অনেক সময় আবার যোগ ব্যায়ামও শেখানো হচ্ছে গ্রামে গ্রামে। মানুষের সঙ্গে এমনই ভাবে মিশছেন সঙ্ঘের সদস্যরা। তবে নির্বাচনের ফলাফল তাঁদের মনোবলে ধাক্কা দিয়েছে বলে দাবি বিজেপিরও।