—প্রতীকী ছবি।
আবেদনপত্র লিখতে ৩০ টাকা, ফর্ম পূরণে আরও ২০। অভিযোগ, ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে টেবিল-চেয়ার পেতে বসে এমনই কাজ করছেন অনেকে।
সরকারি কর্মসূচিতে আপনারা কি প্রশাসনের কর্মী? এক যুবক বললেন, “আমরা আশপাশের বাসিন্দা।” আবেদন লিখিয়ে এক মহিলার দেওয়া টাকা ঠেলে সরিয়ে বললেন, “আমরা নিচ্ছি না। ওঁরা জোর করে দিতে চাইছেন।” মহিলা বললেন, “পড়াশোনা জানি না। আবেদন লেখাতে এসেছি। ৩০ টাকা চাইলেন।”
বুধবার কোচবিহারের পানিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধলুয়াবাড়ি হাইস্কুলে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে দেখা গেল এমন ছবি। সকালেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ঘুরে যান ওই শিবির। ছিলেন কোচবিহার ১ ব্লকের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াঁ, ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক সুকল্যাণ ভট্টাচার্য।
ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “আমরা সব বলে দিচ্ছি। এমন হওয়ার কথা নয়।” এলাকাবাসী একাংশের অভিযোগ, শাসকদলের কয়েক জনের মদতেই ওই যুবকেরা সেখানে বসেছিলেন। মন্ত্রী বলেন, “সব জায়গায় দলের জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন। তার পরেও এমন অভিযোগ হলে দেখা হবে।”
স্কুলের সদর দরজায় চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসেছিলেন দুই যুবক। ভিতরে মাঠে আরও দশ জন। এক জন বলেন, “আমরা দল করি না। সবাইকে সাহায্য করছি, তাই পয়সা নিচ্ছি।”
তৃণমূলের দাবি, বিজেপির কয়েক জন বসেছিলেন সেখানে। বিজেপির পাল্টা দাবি, সব শিবিরেই সাহায্যের নামে এ ভাবেই টাকা তুলছে তৃণমূল।