প্রচার সভায় অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে মহম্মদ সেলিম। —নিজস্ব চিত্র।
শিলিগুড়ি পুরভোটে বিরোধী ভোট ভাগ না করার আবেদন জানালেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা রায়গঞ্জের সাংসদ মহম্মদ সেলিম। শনিবার সিপিএমের দলীয় কার্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই আবেদন জানান তিনি। সেই সঙ্গে বামেদের মেয়র পদপ্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বেই আস্থা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিন শিলিগুড়িতে পুরভোটের প্রচারে এসে একগুচ্ছ অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। তাঁর নিজের লোকসভা এলাকা রায়গঞ্জেও ভাল সাড়া পাচ্ছেন বলেও জানান। বৈঠকের পরে শিলিগুড়িরই মিত্র সম্মিলনী হলে বাম সমর্থিত ‘চিটফান্ড সাফারার অ্যান্ড এজেন্টস ইউনিটি ফোরাম’-এর আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানে তাঁকে প্রতারিত অর্থ লগ্নি সংস্থার এজেন্টরা একটি স্মারকলিপি তুলে দেন সাংসদের হাতে। তার মাধ্যমে প্রতারিত টাকা ফেরত ও এজেন্টদের অন্য কোনও কাজে নিয়োগের দাবিতে সংসদে প্রশ্ন তোলার দাবি জানানো হয়েছে।
এদিন রায়গঞ্জের সাংসদের দাবি, ‘‘বাম আমলে শিলিগুড়িকে একটি সুসংবদ্ধ নগরীতে পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। গত পাঁচ বছরে সেই পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়েছে। অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বাম বোর্ডই শহরের প্রকৃত উন্নয়ন করতে পারে।’’ শিলিগুড়ি পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাম প্রার্থী তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোকবাবুর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘বাম প্রার্থীদের জেতাতে হলে তৃণমূল বিরোধী ভোট ভাগ হওয়া চলবে না।’’ এদিন বৈঠকে অশোকবাবু ছাড়াও ছিলেন সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারও।
বৈঠকের পরে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন। রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ পুরসভায় তিনি কয়েকবার গিয়েছেন বলে জানান।তাতে ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেকগুলো বিষয়ের সঙ্গে লড়তে হয়েছিল। বাম আমলেও আমাদের এই এলাকায় তেমন প্রভাব ছিল না। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই সহজ। লোকজনের কাছ থেকে ভাল সাড়া পাচ্ছি।’’
লগ্নি সংস্থাগুলোর প্রতারিত এজেন্ট এবং আমানতকারীদের সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ। অর্থ ফিরিয়ে আনতে হলে সবাইকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রয়োজনে তিনি আবার আসবেন বলেও আশ্বাস দেন। ওই সংগঠনের তরফে সাংসদের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক পার্থ মৈত্র। তিনি বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গে মোট ৮৪টি সংস্থা প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। সমস্ত জানিয়ে সিবিআই, ইডি, এসএফআইও এবং সেবির কাছেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’