রেফার বিতর্কে এবার জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালকে সতর্ক করলেন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন৷ সোমবার হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক করে বিজয়বাবু তাদের সাফ জানিয়ে দেন, অযথা যেন কাউকে হাসপাতাল থেকে রেফার করা না হয়৷
সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের বিরুদ্ধে কারণ ছাড়াই রোগীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে৷ এরমধ্যে শেষ অভিযোগটি ওঠে দিন তিনেক আগে৷ বাড়ির লোকের আপত্তি সত্ত্বেও চিকিৎসকরা কোনপাকরি এলাকার এক প্রসুতিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দেন বলে অভিযোগ৷ শেষ পর্যন্ত শহরের একটি নার্সিংহোমে তার ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই বধূ৷ কিন্তু এই জন্য দরিদ্র ওই পরিবারের খরচ হয়ে যায় প্রায় ৩৬ হাজার টাকা৷ বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সাংসদের কাছে অভিযোগ করেন তারা৷
এরপরই এ দিন রেফার বিতর্ক নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজয়বাবু৷ বৈঠকে হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর ছাড়াও হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন৷ সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই বিজয়বাবু চিকিৎসকদের সাফ জানিয়ে দেন, হাসপাতাল থেকে রোগী রেফারের সংখ্যা কমাতে হবে৷
জানা গিয়েছে, বৈঠকে চিকিৎসকদের কেউ কেউ সাংসদের কাছে অভিযোগ করেন, অনেক সময় ঝুঁকি থাকলে প্রসুতির বাড়ির লোকেরা বন্ডে সই করতে চান না৷ এমনকি কখনও কখনও রোগীর আত্মীরা নিজেরাই রেফারের জন্য জোড় করতে থাকেন৷ ফলে বাধ্য হয়ে তখন ওই রোগী বা প্রসূতিকে রেফার করতে হয় বলে দাবি। পাশাপাশি পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যার কথাও সাংসদের সামনে তাঁরা তুলে ধরেন৷
বৈঠক শেষে বিজয়বাবু বলেন, ‘‘আমি চিকিৎসকদের কথাও শুনেছি৷ হাসপাতালে ভর্তি রোগী বা প্রসূতিদের বাড়ির লোকেদেরও একটু ধৈর্য ধরতে হবে৷ জেলা হাসপাতাল থেকে রোগী রেফারের সংখ্যা যাতে কমানো হয় সে ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছি৷’’ পাশপাশি সাংসদ জানান, চিকিৎসকরা পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যার কথাও আমায় বলেছেন৷ সেগুলি কিভাবে মেটানো যায় তার চেষ্টা করা হবে৷