চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এ ভাবেই চিকিৎসা। নিজস্ব চিত্র
বাইরে থেকে ঝকঝক করছে হাসপাতাল ভবন। কিন্তু ভিতরে ঢুকলেই দেখা যাবে মেঝেতে শুয়ে রয়েছেন মুমূর্ষু রোগী থেকে শুরু করে প্রসূতিরাও। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। সাফাই না হওয়ায় শৌচাগার এতটাই বেহাল যে তা ব্যবহারের অযোগ্য। মালদহের চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে শয্যা, শৌচাগারের পাশাপাশি পরিকাঠামো নিয়ে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের ক্ষোভ ছিলই। একাধিক বার শৌচাগার, মেঝেতে চিকিত্সার ছবি সামাজিক মাধ্যমে দিয়েও অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বার হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে এমন ছবি দেখলেন খোদ জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া।
শনিবার রাতে আচমকাই হাসপাতাল পরিদর্শন করেন জেলাশাসক। মেঝেয় রোগীদের চিকিৎসা হতে দেখে নিজের ক্ষোভ গোপন রাখেননি তিনি। শৌচাগার ও অন্য সমস্যাগুলি যাতে মেটানো যায় তা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি শয্যা যাতে বাড়ে তা নিয়ে তিনি নিজেও উদ্যোগী হবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা প্রচুর। তাই শয্যার অভাব দেখা দিচ্ছে। হাসপাতালের শয্যা যাতে বাড়ে তা নিয়ে উদ্যোগী হব। এ ছাড়া অন্য পরিকাঠামোর বিষয়গুলিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্তাদেরও এ নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন হাসপাতালে পুরুষ ও মহিলা বিভাগ মিলিয়ে ৩২০টি শয্যা রয়েছে। শয্যার অভাবে হামেশাই রোগীদের রেফার করতে হয়। অনেকেরই মালদহ মেডিক্যালে যেতে সমস্যা থাকায় তাদের মেঝেতেই রেখে চিকিৎসা করতে হয়। এ ছাড়া এইচডিইউর শয্যা রয়েছে মাত্র চারটি (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট)। ফলে এ ক্ষেত্রেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সমস্যা মেটাতে দীর্ঘদিন আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে শয্যা ও এইচডিইউ বাড়ানোর প্রস্তাব স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হয়। কিন্তু এখনও অনুমোদন মেলেনি।
চাঁচলের সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়লেই সমস্যা মিটবে। শয্যা সংখ্যা ৫৫০টি ও এইচডিইউ ৫০টি করার প্রস্তাব স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।’’