সরেজমিনে: চাকুলিয়ার একটি স্কুলে মিড-ডে মিলের রান্নাঘর পরিদর্শন করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
মিড-ডে মিল নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসার আগেই তৎপর হল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবারের পরে বুধবারও উত্তর দিনাজপুর জেলায় স্কুলগুলিতে গিয়ে মিড-ডে মিলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। এ দিন পড়ুয়াদের জন্য মিড-ডে মিল কতটা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে রান্না হচ্ছে, রান্না-ঘরে গিয়ে সে সবও খুঁটিয়ে দেখেন তাঁরা। বাসনপত্র পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রয়েছে কি না, সে সবও দেখেন। পড়ুয়াদের সঙ্গে বসে মিড-ডে মিলের খাবারও চাখেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিদর্শনে গিয়ে একাধিক ত্রুটি ধরা পড়ে। জেলার এমন ১,৫০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করাও হয়েছে। সে সব সমস্যা মেটাতে অতিরিক্ত জেলাশাসক থেকে শুরু করে ব্লকস্তরের পাশাপাশি, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদেরও রাখা হয়েছে।
পরিদর্শনে গিয়ে নজরে আসে, কোনও স্কুলে পড়ুয়ায়দের খাবার জন্য আলাদা ঘর নেই। কোনও স্কুলে বাইরে খোলা আকাশের নীচে, কোথাও গাছতলায় বসে, কোথাও আবার বারান্দায় চলে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন হচ্ছে। বেশিরভাগ স্কুলের ‘শেড’ বেহাল। কোনও স্কুলে স্কুলে ‘শেড’ অর্ধ সমাপ্ত হয়েইপড়ে রয়েছে।
চাকুলিয়ার রামকৃষ্ণপুর পিডিজেএম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকি দত্ত বলেন, “পরিদর্শক দল মিড-ডে মিলের যাবতীয় তথ্য নিয়ে গিয়েছেন। আমাদের স্কুলে পড়ুয়াদের জন্য বসার জায়গা, রান্নার আলাদা ঘর নেই। আধিকারিকেরা আশ্বাস দিয়েছেন, সমস্যা মিটে যাবে।
কিছু জায়গা থেকে অভিযোগ আসে, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে পুষ্টিকর খাবার অপর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, সবই রিপোর্ট আকারে জেলা প্রশাসনকে জানানো হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ন’টি ব্লকে বিডিওদের পাশাপাশি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও পরিদর্শনে যাবেন। জেলা মিড-ডে মিল প্রকল্প আধিকারিক প্রবীণ অনুপ সরেন বলেন, “মিড-ডে মিলে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দেওয়া-সহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।’’