অসুস্থ বিউটিকে শংসাপত্র দিচ্ছেন বিডিও। নিজস্ব চিত্র।
তাকে সংবর্ধনা দিতে নাদাবপাড়া গ্রামেই মঞ্চ গড়েছিল ইংরেজবাজার ব্লক প্রশাসন। ঠিক ছিল সেই মঞ্চে গিয়েই সংবর্ধনা নেবে নাবালিকার বিয়ের প্রতিবাদ করে আক্রান্ত হওয়া কিশোরী বিউটি খাতুন। কিন্তু শরীর এতটাই দুর্বল, যে বাড়ি থেকে দুশো মিটার দূরে তৈরি মঞ্চেও যেতে পারল না সে। অগত্যা মঙ্গলবার, জাতীয় শিশুকন্যা দিবসে তার বাড়িতে গিয়েই বিউটিকে সংবর্ধিত করলেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
ইংরেজবাজারের বিডিও দেবর্ষি মুখোপাধ্যায় তাঁর হাতে একটি অভিজ্ঞানপত্র, কন্যাশ্রী কিট সহ বেশ কিছু সামগ্রী তুলে দেন। পাঁচ হাজার টাকার চেকটি তুলে দেন সদর মহকুমা শাসক সন্দীপ নাগ। বিউটি সভামঞ্চে না গেলেও এ দিন অমৃতির ওই নাদাবপাড়ার মঞ্চ থেকে বিউটির প্রতিবাদী সত্ত্বার কাহিনী গ্রামবাসীদের কাছে তুলে ধরেন মহকুমাশাসক ও বিডিও। বিউটির গ্রামকে বাল্য বিবাহ মুক্ত করতে এ দিন মঞ্চ থেকেই শপথ নেওয়ার ডাক দিয়েছেন তাঁরা। সেই শপথে গণসাক্ষরও সংগ্রহ করা হয়েছে। বিডিও বলেন, ‘‘অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বিউটির সাহসিকতাকে কুর্নিস জানাতেই এ দিন আমরা বাড়িতে গিয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানিয়েছি। পাশাপাশি ওই গ্রামকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করারও ডাক দেওয়া হয়েছে।’’
এ দিকে, প্রতিবাদী ছাত্রীকে সংবর্ধনা দিতে প্রশাসনের এই তৎপরতার ছবি দেখা গেলেও তার উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের প্রত্যেকেই কিন্তু এখনও অধরা। স্বভাবতই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়।
বিউটির পরিবারের অভিযোগ, মারধরের ঘটনার পর আট দিন পার হলেও অভিযুক্তরা কেউ ধরা পড়েনি। যদিও এ দিন মহকুমা শাসক, বিডিও ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্তারা গ্রামে অভিযুক্তদের বাড়ি যান। আশেপাশের বাসিন্দাদের কাছেও খোঁজখবর নেন। বিডিও বলেন, ‘‘ওই বাড়ি তালাবন্ধ। অভিযুক্তদের ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ।’’