প্রতীকী ছবি
কারও পদ যেতে পারে, কেউ পেতে পারেন নতুন পদ। তৃণমূলের কোচবিহারের ব্লক কমিটি ঘোষণার আগে এমনই আলোচনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।
দলীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ওই কমিটি ঘোষণার কথা ছিল। দুই-একটি ব্লক কমিটিতে কাকে সভাপতি রাখা হবে, তা নিয়ে কোন্দল চরমে ওঠায় তা আরও কয়েকদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাতদিনের মধ্যেই ওই কমিটি ঘোষণার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। দলের অন্দরের খবর, পদ না পেলে অনেক নেতাই দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। এই অবস্থায় জেলা কমিটির আদলেই ব্লক কমিটি তৈরি করা হচ্ছে যাতে নতুন-পুরনো সবারই মন রাখা করা যায়। দল অবশ্য তা মানতে নারাজ। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “কোনও কোন্দল নেই। সাতদিনের মধ্যে ওই কমিটি ঘোষণা করা হবে।”
গত লোকসভা নির্বাচনের জেলা কমিটি নতুন করে গঠন করে তৃণমূল। সেই সময়েই ব্লক কমিটিগুলি ভেঙে দেওয়া হয়। দলে কোন্দল রুখতে বিধানসভা-ভিত্তিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। দলীয় সূত্রের খবর, সেই কমিটি দিয়ে সাংগঠনিক কাজ ঠিকমতো চলছিল না। তাতেই ফের নতুন করে ব্লক কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যাতে নতুন করে কোনও কোন্দল না হয় সেজন্য বিধানসভা ধরে ব্লক কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাতেও কোন্দল কমেনি। কোচবিহার-১ ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি খোকন মিয়াঁ, কোচবিহার-২ ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি পরিমল বর্মণ পদ পাবেন কি না সংশয় দলেই। একাধিক ব্লকেই নতুন সভাপতি তৈরির ইঙ্গিত দিয়েছে দল। দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের আর সামনে রাখতে চাইছে না দল।
আরও জানা গিয়েছে, পদ আর থাকবে না বুঝতে পেরে একাধিক প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জেলা ও রাজ্য নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সেখান থেকেও তেমন কিছু আশানুরূপ বার্তা পাননি তাঁরা। এক জেলা নেতা বলেন, “ব্লক সভাপতির জন্য বিধায়কদের কাজ থেকে নাম নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া টিম পিকের মাধ্যমেও তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যে ব্লকে যাকে মানুষ এই মুহূর্তে পছন্দ করছেন তাঁকে রাখা হতে পারে।’’