—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চের নির্দেশের পরে, কেটে গিয়েছে তিন দিন। অথচ, আলিপুরদুয়ারে এখনও দেখা নেই সিবিআই বা ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকদের। আর সেটাই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে মহিলা ঋণদান সময়বায় সমিতির ‘প্রতারিত’ আমানতকারীদের অনেকের। আলিপুরদুয়ার শহরের বক্সা ফিডার রোডের ওই মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির বন্ধ দফতরের সামনে রবিবারেও ‘প্রতারিতদের’ একাংশ ভিড় জমান। বিক্ষোভও দেখান। তবে শনিবারের তুলনায় ভিড় কিছুটা কম ছিল।
আমানতকারীদের একাংশের দাবি, এটা ‘পরিকল্পিত দুর্নীতি’। ‘দুর্নীতির’ জাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। অনেক প্রভাবশালীরাও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। যথাযথ তদন্ত হলে, তাদের ফেঁসে যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। ‘প্রতারিতেরা’ চাইছেন সকলকেই ধরা হোক। প্রয়োজনে, তাদের সম্পত্তি ‘ক্রোক’ করে প্রতারিত আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের ব্যবস্থা করা হোক। হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরে তিন দিনেও সিবিআই বা ইডি আলিপুরদুয়ারে না আসায়, আমানতকারীদের একাংশের মনে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। আগামী দিনে কোনও রাজনৈতিক আশ্রয়ের সুযোগ নিয়ে দুর্নীতির আসল মাথারা বেঁচে যাবে কি না, সে চর্চাও শুরু হয়েছে।
কোনও কোনও মহলের প্রশ্ন, সিবিআইয়ের হাতে এই মুহূর্তে নানা তদন্তের বেশ ভালই চাপ রয়েছে। কিন্তু ইডি কেন এখনও আলিপুরদুয়ারে এল না! যদিও পুলিশ-সহ একাধিক সূত্রের দাবি, আদালতের নির্দেশে সিবিআই বা ইডি-র মতো সংস্থা কোনও ঘটনার তদন্ত ভার নেওয়ার আগে, বেশ কিছু প্রক্রিয়া থাকে। সে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই তদন্তে নামে এ ধরনের সংস্থাগুলি। তাই চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিক থেকেই হয়তো সিবিআই বা ইডি-র আধিকারিকেরা আলিপুরদুয়ারে এসে গোটা ঘটনার তদন্ত ভার নেবেন বলে আশা।
আইনজীবীদের একাংশও জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই দুই তদন্তকারী সংস্থা মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির এই দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করবে। কারণ, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার সময়সীমাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।