আপাতত স্থগিত বেঞ্চ নিয়ে

সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরু করার জন্য নতুন করে রাষ্ট্রপতির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে দাবি রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৬
Share:

সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরু করার জন্য নতুন করে রাষ্ট্রপতির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে দাবি রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের। সোমবার বেঞ্চের দাবিতে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চে যোগ দিতে জলপাইগুড়িতে এসেছিলেন মলয়বাবু। সেখানে তিনি দাবি করেন, প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি থাকাকালীনই জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে শুধু উদ্বোধনের দিন ঘোষণা করা হবে। যা কেন্দ্রে বিজেপির সরকার রাজনীতি করে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ রাজ্যের আইনমন্ত্রীর। ৬ ডিসেম্বর থেকে সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনের সামনে মঞ্চ বেঁধে ধর্না চালাচ্ছে তৃণমূল। এ দিন মলয়বাবু আপাতত ধর্না স্থগিত রাখার ঘোষণাও করেছেন।

Advertisement

মলয় ঘটক বলেন, “পরপর দু’বার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে জলপাইগুড়িতে সব পরিকাঠামোয় তারা সন্তুষ্ট। উদ্বোধনের সম্ভাব্য দিনও জানিয়ে দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তারপরেও ঘোষণা হয়নি।”

সম্প্রতি বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, জলপাইগুড়িতে দ্রুত বেঞ্চ উদ্বোধন হবে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধনের ঘোষণা করবেন। উদ্বোধনের দিনে তিনি উপস্থিত থাকবেন বলেও দাবি করা হয় বিজেপির তরফে। তারপরেই ধর্না শুরু করে তৃণমূল। এ দিন আইনমন্ত্রী বলেন, “বেঞ্চ উদ্বোধন রাজ্য সরকার, হাইকোর্ট এবং রাষ্ট্রপতির বিষয়। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কিছু করার নেই।”

Advertisement

ধর্না শেষ হলেও ব্লকে ব্লকে বেঞ্চের উদ্বোধন চেয়ে আন্দোলন চলবে বলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন। এ দিন তিনি দাবি করেন, ধর্না মঞ্চে কোন নেতা রয়েছেন, কতক্ষণ স্লোগান হয়েছে তার খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে প্রতিদিন রাতে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন।
সোমবার মিছিল নিয়ে শহর ঘুরে অবস্থান মঞ্চে পৌঁছয় জেলা যুব তৃণমূল। মিছিলের সামনে দুই কর্মীকে মোদী এবং অমিত শাহের মুখোশ পরিয়ে হাতে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়। দড়ি ছিল যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। সৈকতবাবুর দাবি, “মোদী, অমিত শাহের নাম করে বিজেপি নেতারা বলেছিলেন ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বেঞ্চের উদ্বোধন ঘোষণা হবে। তা মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। সে কারণে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে দড়ি বেঁধে ঘোরানো হয়েছে।” এই মিছিলের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি গোস্বামী বলেন, “দেশের সংবিধানকে অপমান করেছে তৃণমূল। মানুষই এর যোগ্য জবাব দেবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement