ছবি এএফপি।
লকডাউনের গেরোয় কাজের লক্ষ্যমাত্রায় পিছিয়ে পড়ল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, অন্তত ৩০০ কোটি টাকার কাজ অর্ধসমাপ্ত হয়ে রয়েছে। বিধানসভার আগে সেগুলির উদ্বোধনের কথা। ফলে কাজ বিধানসভার আগে শেষ না হলে চাপ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নতুন করে আরও অন্তত ১৫০টি সেতু তৈরির কাজও আটকে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য বলেন, “লকডাউনে কাজ পিছিয়ে গেলেও বিধানসভার আগেই সব কাজ শেষ করব। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই নতুন প্রকল্পের কাজেও হাত দেওয়া হবে।”
গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ আসনে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ৯টি বিধানসভার কোচবিহার জেলায় ৭টিতে পিছিয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল। এই অবস্থায় উন্নয়নের কাজকেই হাতিয়ার করেই এগোতে চায় তারা। সেই জন্যই, রাস্তা, সেতু, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ, অডিটোরিয়াম হল
তৈরির মতো কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে অন্তত ৭০০টি প্রকল্পের কাজ চলছে এখন।
মন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ১০০টি সেতু তৈরির কাজ চলছে। এ ছাড়া আরও ১৫০টি ছোট সেতু তৈরি হবে। দফতর সূত্রের খবর, দু’টি কাজই লকডাউনে পিছিয়ে পড়েছে। দার্জিলিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস নির্মাণের কাজ চলছে। ব্যাঙডুবিতে একটি রিসর্ট তৈরির কাজ চলছে। সুকনায় দু’টি পুলিশ ব্যারাক তৈরির কাজ চলছে। লাটাগুড়িতে একটি রিসোর্ট তৈরির কাজ শেষ হলেও লকডাউনের জন্য তা উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি।
দলীয় সূত্রের খবর, এ বারে উন্নয়নের কাজকেই হাতিয়ার করেই বিধানসভায় যাবে তৃণমূল। কোচবিহারের মতো জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিক্যাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে দিনহাটা-সিতাই যাতায়াতের জন্য সেতু বা তিস্তার উপরে তৈরি জয়ী সেতুর মতো প্রকল্প ধরে প্রচারের কাজ শুরু হয়েছে। গ্রামীণ এলাকার প্রকল্পগুলির কাজ বিধানসভার আগে শেষ হলে মানুষের উপরে সরাসরি প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে দল।
বিজেপির কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা অবশ্য বলেন, “যা উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল তার কিছুই হয়নি। দুর্নীতি ও বেআইনি কাজই বেড়েছে। তাই আর লাভ হবে না।”