ইস্টবেঙ্গল ভক্ত প্রাক্তন ফুটবলার বাপি প্রামাণিক। নিজস্ব চিত্র
কখনও শহরের রাজবাড়ি স্টেডিয়াম, কখনও এমজেএন স্টেডিয়াম। একদা দাপিয়ে খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তার পরে কেটে গিয়েছে কত কাল। শিলিগুড়িতে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ডার্বি হয়েছে, কিন্তু কোচবিহারের কথা ভাবা হয়নি। রাজাদের শহর তাই এ বার দাবি তুলেছে, সব খেলার সেরা বাঙালির ফুটবলের সেরা আকর্ষণ ডার্বি হোক কোচবিহারেও। ১ অগস্ট ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উদ্যাপনের মুখে শহরের ফুটবল প্রেমীরা সোনালি স্মৃতি রোমন্থনে মজে সেই দাবিই করছেন।
শহরের বাসিন্দা সত্তর বছরের প্রবীণ প্রাক্তন ফুটবলার বাপি প্রামাণিক তাঁদেরই এক জন। এক সময় কলকাতা ময়দানেও এরিয়ান্সের হয়ে দাপিয়ে খেলেছেন। লাল-হলুদ অন্তপ্রাণ বরাবরের। বাপি বলেন, “যত দূর মনে পড়ছে সেটা ১৯৬৪-৬৫ সালের কথা। এমজেএন স্টেডিয়ামে প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ হয়েছিল। তাতে কোচবিহার একাদশের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। সে কী দারুণ উন্মাদনা। ভিড়ে ভিড়াক্কার।” স্মৃতি আউড়ে তাঁর সংযোজন, স্টেডিয়ামের ভেতরে যত লোক ছিল, তার কয়েক গুণ লোক ছিল স্টেডিয়ামে বাইরে। সম্ভবত এক টাকা বা দু’টাকা টিকিট ছিল। অনেকেই অবশ্য টিকিটই পাননি।
২০০০-২০০১ বর্ষেও কোচবিহারে লাল-হলুদের ম্যাচ দেখার স্মৃতি টাটকা অনেকের মনে। শহরের ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, “এয়ারলাইন্স গোল্ডকাপ হয়েছিল রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে। ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। লাল–হলুদ পতাকা নিয়ে খেলার মাঠে যেতাম।” আশির দশকেও কোচবিহার এসেছিল ইস্টবেঙ্গল দল। দিনহাটার সংহতি ময়দানেও খেলেছে। দিনহাটা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা বিভুরঞ্জন সাহা বলেন, “উত্তরবঙ্গ একাদশের বিরুদ্ধে কোচবিহারের পর দিনহাটাতেও খেলে ইস্টবেঙ্গল। এখন আমরা কোচবিহারে ডার্বি দেখতে চাই।”