প্রহরা: পুলিশি ঘেরাটোপে দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। —নিজস্ব চিত্র।
টিকিয়াপাড়ায় যুবক খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে দেহ নিয়ে থানায় বিক্ষোভ দেখালেন নিহতের আত্মীয়, পড়শিরা। মঙ্গলবার সন্ধেয় শিলিগুড়ি থানার ঘটনা। আধ ঘণ্টা বিক্ষোভের পরে স্টেশন ফিডার রোডের থানা চত্বর থেকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাঁদের সরানো হয়। পরে হিলকার্ট রোডে দেহ নামানোয় অবরোধের আশঙ্কা দেখা দেয়। শেষে বিরাট পুলিশ, কমব্যাট বাহিনীর পাহারায় দেহটি কিরণচন্দ্র শ্মশানঘাটে নিয়ে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই সৎকার হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, খুনের ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। তাই দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। চাকুপট্টি এলাকার কয়েকটি দোকানে ঢিল ছোড়া ও গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ।
রাতে শিলিগুড়ি থানায় গিয়ে খুনের তদন্ত নিয়ে অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করেন পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি দেখছি। আশা করছি, দোষী বা দোষীরা ধরা পড়বে।’’
গত সোমবার সন্ধেয় টিকিয়াপাড়ার রেল আবাসনের একটি বাড়ির খালি বারান্দায় কালুয়া রাউত ওরফে শিবা চৌধুরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, কালুয়ার বিরুদ্ধে নানা অসামাজিক কাজের অভিযোগ ছিল। কয়েক মাস আগে একটি ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সম্প্রতি সে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল। কালুয়া’র মা প্রমীলা চৌধুরীকে ১৫ মে উড়ালপুলের নীচে গোপাল ঘোষ ওরফে বাউকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল।
মহিলার এক ছেলে সঞ্জয় চৌধুরী পুলিশকে জানিয়েছেন, ‘‘উড়ালপুলের নীচে খুনের ঘটনায় সঙ্গে ভাইকে খুনের কোনও যোগসূত্র থাকতেও পারে। তা দ্রুত খুঁজে বার করা দরকার।’’