জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজে টেস্ট পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের ফের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন নামল টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদ৷ এই দাবিতে শুক্রবার কলেজের ভেতরে একটি মিছিলও করা হয়৷ পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়৷ যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি এই ছাত্র-ছাত্রীদের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে৷ তাই নতুন করে আর পরীক্ষার প্রশ্ন নেই৷
জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজে প্রায় চার হাজার ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে৷ ছাত্র সংসদের হিসাব অনুযায়ী, এই পড়ুয়াদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের প্রায় কুড়ি থেকে বাইশ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী টেস্ট পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছেন৷ তাঁদেরকে আবার পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতেই এ দিন আন্দোলন করে তারা।
কিন্তু কেন এমন দাবি? কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবজিৎ সরকার বলেন, ‘‘আমরা কাউকে পাশ করাতে বলছি না৷ শুধুমাত্র ফের পরীক্ষার ব্যবস্থা করার কথা বলছি৷’’ দাবির যুক্তি হিসাবে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘গত প্রায় দুই বছর ধরে আমাদের কলেজে ঠিক-মত ক্লাস হয় না৷ আমাদের কলেজে অনেক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন যারা আলাদা করে বাইরে প্রাইভেট টিউশনও পড়তে পারে না৷ এই সব পরিস্থিতির জন্যই তাঁদেরকে ফের একটা সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছি৷’’
তবে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রেজ্জাকের দাবি, অনুত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি একটি সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে৷ নতুন করে আর পরীক্ষা হবে না৷ কতজনকে উত্তীর্ণ করা যায় সেটা ঠিক করতে একটি কাউন্সিলিং সেল গঠন করা হয়েছে৷ ওই সেল সমস্ত বিষয়টা দেখছে বলে জানান তিনি।