ব্যস্ততা: টয় ট্রেন লাইনে চলছে কাজ। নিজস্ব চিত্র।
পুজোয় সামান্য হলে পর্যটক আসা শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। উত্তর ও দক্ষিণের সংযোগকারী কয়েকটি ট্রেনও চালু হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ টয়ট্রেন এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে টয়ট্রেন কর্তৃপক্ষ, সকলেই চাইছেন এ বারে রাজ্য ছাড়পত্র দিক, চালু হোক ঐতিহ্যবাহী এই রেল। দার্জিলিঙের জেলাশাসক জানিয়েছেন, তিনি এই নিয়ে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলবেন।
করোনা সংক্রমণে মার্চ মাস থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল টয়ট্রেন পরিষেবা। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের অধীনে এই পরিষেবার গ্রাহক বিশ্বজোড়া। যদিও এই মুহূর্তে কেবল দেশীয় পর্যটক আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে রেল কর্তৃপক্ষ, সকলে। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, বলেন, ‘‘অনেক দিন হয়ে গেল, এ বার রাজ্য সরকারের উচিত বিবেচনা করে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়া। কারণ তা না হলে দার্জিলিঙে বেড়াতে আসা পর্যটকরা একটি নেতিবাচক ভাবমূর্তি নিয়ে ফিরবেন।’’
পুজোর আগেই টয়ট্রেন চালানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার এবং রেল। কাটিহার ডিভিশনের তরফে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলমের কাছে চিঠি লিখে টয়ট্রেন চালানোর অনুমতি চেয়েছিল রেল। তা রাজ্য সরকারের বিবেচনায় আনা হয়েছিল। পুজোর আগে থেকেই ট্রেন চালু করে দেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল। যদিও তা কোনওভাবে বাস্তবায়িত হয়নি বলেই সূত্রের দাবি। মঙ্গলবার দার্জিলিঙের জেলাশাসক বলেন, ‘‘এখনও রাজ্য সরকারের তরফে অনুমোদন আসেনি। তবে আমরা চেষ্টা করছি তা দ্রুত জোগাড় করার।’’ রেল কর্তাদের দাবি, টয়ট্রেন চালানোর জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এখন কেবল রাজ্য সরকারের অনুমতি মিললে ট্রেন চালু হয়ে যেতে পারে।
এমনিতেই করোনার জন্য দীর্ঘ সময় পর্যটন মার খেয়ে গিয়েছে বলে দাবি। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত অন্তত জয় রাইডগুলি চালু হলে তার টানে কিছু পর্যটক দার্জিলিংমুখী হবেন বলেও মনে করছেন বেশ কিছু পর্যটন ব্যবসায়ী। দার্জিলিঙে বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটি বড় অংশের আকর্ষণ টয়ট্রেন। এ বারে বিদেশি পর্যটন না এলেও দেশি পর্যটকদের অনেকেই টয়ট্রেন নিয়ে খোঁজ করছেন। এই ট্রেনের পরিষেবা যদি চালু না হয়, তা হলে প্যাকেজ বাতিল হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে, বলছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।