বাড়ির সামনে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত দীপা দাশমুন্সি। —নিজস্ব চিত্র।
কালিয়াগঞ্জ ও ইসলামপুর পুরভোটের সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে দলের নেতা কর্মীদের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ার নির্দেশ দিলেন রায়গঞ্জের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি। বুধবার কালিয়াগঞ্জের শ্রীকলোনি এলাকায় নিজের বাড়িতে দলের শতাধিক নেতা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন দীপা।
দীপা দাবি করেন, তৃণমূলের সন্ত্রাস ও হুমকিকে উপেক্ষা করে বাসিন্দারা দুহাত ভরে ভোট দেওয়ায় কংগ্রেস কালিয়াগঞ্জ ও ইসলামপুর পুরসভা পুনর্দখল করতে পেরেছে! রাজ্যের যে সমস্ত পুরসভা ও ওয়ার্ডে বিরোধীদের সংগঠন রয়েছে, সেখানেই বিরোধীরা ভাল ফল করেছে। শাসক দলের সঙ্গে সাধারণ মানুষ নেই। সেই কারণেই, তাদের সন্ত্রাস করে ভোট করাতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এক বছর পর বিধানসভা নির্বাচন। সে কথা মাথায় রেখে পুরসভা নির্বাচনের দলের সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে তাই এখন থেকেই জেলার নয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে নির্বাচনের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ুন। মনে রাখবেন, কংগ্রেস শক্তিশালী থাকলে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়া সম্ভব।’’
২০১১ সালে ইটাহার ও ইসলামপুর বিধানসভা তৃণমূল দখল করে। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, গোয়ালপোখর বিধানসভা কংগ্রেসের দখলে যায়। এ ছাড়া হেমতাবাদ, করণদিঘি ও চাকুলিয়া বিধানসভা বামফ্রন্ট ও চোপড়া বিধানসভা নির্দল দখল করে। পরে অবশ্য গোয়ালপোখরের কংগ্রেস বিধায়ক গোলাম রব্বানি ও চোপড়ার নির্দল বিধায়ক হামিদুল রহমান তৃণমূলে যোগ দেন।কালিয়াগঞ্জের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী কংগ্রেস প্রার্থী তথা দলের ঘোষিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অরুণ দে সরকার ও জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, ‘‘আপাতত, আমরা জনসংযোগ ও শাসক দলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জেলা জুড়ে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করব।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের কটাক্ষ, আগামী পাঁচ বছরের জন্য লেনদেনের শর্তে কংগ্রেস বিরোধীদের সঙ্গে রামধনু জোট করে ও টাকা বিলিয়ে দুটি পুরসভা দখল করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখছে।
দীপা এ দিনই দিল্লি ফিরে যান। তবে ৬ মে কালিয়াগঞ্জে দলের বিজয় মিছিলে তিনি থাকবেন। তিনি বলেন, ‘‘আপাতত কয়েকদিন দলের নেতা কর্মী ও সমর্থকদের কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে সতর্ক থাকতে বলেছি।’’