হল না প্রতিস্থাপন

কর্নিয়া নিয়েও শুরু বিতর্ক

উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জেলার দৃষ্টিহীন বাসিন্দাদের তালিকা নেই। এই পরিস্থিতিতে দৃষ্টিহীন কোনও বাসিন্দা খোঁজ না পেয়ে রায়গঞ্জের তুলসীতলা এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত কৃষ্ণা মজুমদারের দু’টি চোখের কর্নিয়ার প্রতিস্থাপন করতে পারলেন না রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৬ ০১:২২
Share:

উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জেলার দৃষ্টিহীন বাসিন্দাদের তালিকা নেই। এই পরিস্থিতিতে দৃষ্টিহীন কোনও বাসিন্দা খোঁজ না পেয়ে রায়গঞ্জের তুলসীতলা এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত কৃষ্ণা মজুমদারের দু’টি চোখের কর্নিয়ার প্রতিস্থাপন করতে পারলেন না রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ, সোমবারের মধ্যে কর্নিয়া দুটি দু’জন দৃষ্টিহীনের চোখে প্রতিস্থাপন করা না হলে সেগুলি নষ্ট হতে পারে, এই আশঙ্কায় রবিবার সেগুলিকে শিলিগুড়ির লায়ন্স নেত্রালয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছিলেন রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ দিন সকালে আইব্যাঙ্কের কর্মীরা কর্নিয়াগুলি নিয়ে শিলিগুড়ির ওই বেসরকারি চোখের হাসপাতালে গিয়ে সেগুলি কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন। ওই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে প্রয়াত কৃষ্ণাদেবীর পরিবারের লোকেদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, কর্নিয়া দু’টি উত্তর দিনাজপুরেরই দু’জন দৃষ্টিহীন বাসিন্দার চোখে প্রতিস্থাপন করা হলে তাঁরা খুশি হতেন। এখন শিলিগুড়িতে কাদের চোখে কর্নিয়াদুটি প্রতিস্থাপন করা হবে বা আদৌ সেগুলি নষ্ট হয়ে যাবে কি না সেইবিষয়ে তাঁরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

Advertisement

কৃষ্ণাদেবীর ছেলে শুভঙ্করবাবু বলেন, ‘‘রায়গঞ্জে আইব্যাঙ্ক ও কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও জেলা স্বাস্থ্য দফতরে দৃষ্টিহীন বাসিন্দার তালিকা না থাকাটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধার দাবি, ভবিষ্যতে যাতে কোনও কর্নিয়া বাইরে পাঠাতে না হয়, তার জন্য জেলার ৯টি ব্লকের দৃষ্টিহীন বাসিন্দাদের তালিকা হবে।

রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের সুপার গৌতম মণ্ডলের দাবি, তাঁদের কাছে দৃষ্টিহীন বাসিন্দার তালিকা নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়েও গত দু’দিনে কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের যোগ্য কোনও দৃষ্টিহীন বাসিন্দাকে খুঁজে পাননি। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ চিকিত্সাধীন অবস্থায় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাদেবীর। পরিবারের লোকজন এরপর কৃষ্ণাদেবীর চোখ ও অঙ্গদানের শেষ ইচ্ছের কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কৃষ্ণাদেবীর মরদেহ থেকে দুটি চোখের কর্নিয়া সংগ্রহ করলেও পরিকাঠামোর অভাবে অঙ্গ নিতে পারেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কর্নিয়া সংগ্রহের পর তা ৯৬ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে। ফলে ওই সময়ের মধ্যে সেগুলি প্রতিস্থাপন না হলে দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টি নাও ফিরতে পারে। সেই মতো আজ, সোমবার বেলা ১০টার মধ্যে কৃষ্ণাদেবীর কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা জরুরি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement