যানজট: পরিচিত ভিড় ও গাড়ির জট ফিরেছে শিলিগুড়ির রাস্তায়। ছবি: বিধান দাস
করোনার সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসাধীন আরও ৫ জনের মৃত্যু হল শিলিগুড়িতে। রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতাল এবং সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে তাঁদের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ৩ জন শিলিগুড়ির বাসিন্দা, একজন ইসলামপুরের। অপর একজনের বাড়ির ঠিকানা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে সোমবার সকালে মারা যান শিলিগুড়ির খালপাড়ার বাসিন্দা ৬০ বছরের এক মহিলা। খালপাড়ার এসএম রোডের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধাকে ২৪ জুলাই বিকেলে করোনার সংক্রমণ নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। ওই কোভিড হাসপাতালে এদিন সকালে মারা যান মাটিগাড়ার রঙিয়ার সলকাভিটার বাসিন্দা ৩৭ বছরের এক ব্যক্তি।
সোমবার গভীর রাতে শিলিগুড়ির সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে মারা যান এক ব্যক্তি। সপ্তাহখানেক আগে তাঁকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছিল। তাঁর বাড়ি পাকুড়তলা এলাকায়। পরিবারের লোকেরা জানান, বাড়িতে গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হলে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে একবার তাঁর লালারস পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কিছু মেলেনি। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে একদিন পর তাঁকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। দ্বিতীয়বার সেখানে লালারস পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজ়িটিভ মেলে।
মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে ইসলামপুরের বাসিন্দা ৫৪ বছরের এক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। ওই দিনই তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এদিন ৬৭ বছরের অপর এক ব্যক্তি মারা যান। মৃত্যুর পর তাঁর লালারস পরীক্ষা রিপোর্ট পজ়িটিভ মিলেছে। তাঁর বাড়ি শিলিগুড়ির কোন এলাকায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
এদিন শিলিগুড়ি শহরে নতুন করে ৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। পুর এলাকার বাইরে শিলিগুড়ি মহকুমা এবং পাহাড়ে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬। তার মধ্যে নকশালবাড়ির ২৩, খড়িবাড়ির ৩, ফাঁসিদেওয়ার ২ জন এবং মাটিগাড়ার ৩ জন রয়েছেন। কার্সিয়াঙে ৪ জন এবং বিজনবাড়িতে ১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।