রায়গঞ্জ মেডিক্যালের এসএনসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত এক শিশুর পরিবারের লোকেরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। নিজস্ব চিত্র।
রায়গঞ্জ মেডিক্যালে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। বুধবার সকালে এক ঘণ্টার ব্যবধানে রায়গঞ্জের পানিশালার বাসিন্দা ১৩ দিন বয়সি এক পুত্র সন্তান ও উত্তর দিনাজপুর জেলা লাগোয়া বিহারের বারসইয়ের দু'দিনের এক কন্যা সন্তানের মৃত্যু হয়। তারা জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল বলে মেডিক্যাল সূত্রে খবর। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে ওই ইউনিটে ১২ জন শিশুর মৃত্যু হল।
এই পরিস্থিতিতে একদিকে জেলায় জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও সর্দিকাশির সমস্যা নিয়ে শিশুদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ও অন্যদিকে, জেলায় ক্রমাগত জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা বাড়তে থাকায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের অন্দরে উদ্বেগ চরমে উঠেছে। তবে জেলায় করোনা আক্রান্ত তিন শিশুর সুস্থ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অবশ্য কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। মেডিক্যালের ভারপ্রাপ্ত সুপার বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "ওই দুই শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা করোনার সম্পর্ক নেই। তারা অপরিণত অবস্থায় প্রসব হওয়ার কারণে মারা গিয়েছে।"
এদিন রায়গঞ্জ মেডিক্যালের ও ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শিশুবিভাগে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও সর্দিকাশির সমস্যা নিয়ে ২২ জন শিশু ভর্তি ছিল। বিদ্যুতের দাবি, ঠান্ডা ও গরমের আবহওয়ার কারণে প্রতিবছর এই মরসুমে অনেক শিশু জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হয়।
৪ নভেম্বর মেডিক্যালের শিশুবিভাগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসাধীন রায়গঞ্জের বাসিন্দা ছয় মাসের এক শিশুকন্যার করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। পরদিন করণদিঘির বাসিন্দা ছয় বছরের এক শিশু কন্যার ও বারসই এলাকার ১১ বছরের আরেক বালিকার করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। মেডিক্যালের সহকারী সুপার মৌমিতা আফরোজ বলেন, “ছয় মাস ও ছয় বছর বয়সি দুই শিশু দু'দিন আগে সুস্থ হয়েছে। বুধবার ১১ বছরের ওই বালিকাও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। জেলায় আর নতুন করে কোনও শিশুর করোনায় আক্রান্ত হয়নি।”