এই ঝরনাতেই পাওয়া যায় চিকিৎসকের দেহ। নিজস্ব চিত্র
কাজে যোগদানের দিন পাঁচেকের মধ্যে একটি চা-বাগানের এক চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হল ঝর্না থেকে। বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের মেটেলির ঘটনা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। খুন না কি অসুস্থতার কারণে ওই চিকিসৎসকের মৃত্যু হয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দিন সাতেক আগে মেটেলির ইনডং চা-বাগানে চিকিৎসক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন কোচবিহারের বাসিন্দা সুব্রতকুমার কর (৫০)। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায় সুব্রতের কোয়ার্টারের দরজা খোলা। এর পর ঘরে তাঁকে দেখতে পাওয়া না গেলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিছুটা পরে কয়েক জন শ্রমিক সুব্রতের নিষ্প্রাণ দেহ দেখতে পান বাগানের মধ্যে একটি ঝর্নায়। এর পর মেটেলি থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সুব্রতের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
চা-বাগানের ম্যানেজার রজত দেবের কথায়, ‘‘সুব্রতকুমার কর পাঁচ দিন আগে এই চা-বাগানে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। গত কাল রাত ১১টা নাগাদ আমাদের কারখানার নিরাপত্তারক্ষীরা ওঁকে কারখানার গেটের সামনে দেখেছিলেন। এর পর উনি কোয়ার্টারে ফিরে যান। আজ সকালে দেখা যায়, ওঁর কোয়ার্টারের দরজা খোলা, কিন্তু উনি নেই। এর পর খোঁজ শুরু হয়। হঠাৎ শ্রমিকেরা খবর দেন, চা বাগানের একটি ঝোরার ধারে ওঁর দেহ পড়ে আছে। কী ঘটল বুঝতে পারছি না।’’
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা। ওই রিপোর্ট হাতে পেলে ধোঁয়াশা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে।