দুই হাতির সংঘর্ষের মাঝে পড়ে হস্তিশাবকের মৃত্যু। — ফাইল চিত্র।
হস্তিশাবকের মৃতদেহ উদ্ধার হল শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নকশালবাড়ির সাতভাইয়া চা বাগান এলাকায়। বন দফতরের কর্মীরা হস্তিশাবকের দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, দুই হাতির খণ্ডযুদ্ধের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই শাবকটির।
রবিবার সকালে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নকশালবাড়ি এলাকার সাতভাইয়া চা বাগানে হস্তিশাবকটির দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে হস্তিশাবকের মৃতদেহ দেখে বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, পুরুষ হাতি এবং স্ত্রী হাতির লড়াইয়ের মাঝখানে কোনও ভাবে পড়ে গিয়েছিল এই হস্তিশাবকটি। সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয় শাবকটির। বাচ্চা হাতিটির ঘাড়ে এবং মেরুদণ্ডে আঘাত রয়েছে বলে বন দফতরে সূত্রে জানা গিয়েছে৷
চা বাগানে পড়ে হস্তিশাবকের মৃতদেহ। — নিজস্ব চিত্র।
কার্শিয়ংয়ের বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) হরেকৃষ্ণ পিজে বলেন, ‘‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। প্রথমে বাচ্চা হাতিটির মা এবং দলের অন্যান্যরা মৃত শাবকটিকে ঘিরে রেখেছিল। তাদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করে শাবকটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, পুরুষ এবং স্ত্রী হাতির লড়াইয়ের মাঝখানে সে পড়ে গিয়েছিল৷ সেই লড়াই এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেও হতে পারে আবার সঙ্গমের জন্যও হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের পরই আসল কারণ জানা যাবে।’’