নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। ছবি: পিটিআই।
জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের দেওয়া উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের হিম লাগা দার্জিলিং চা। প্রথম ফ্লাশের বাছাই করা পাতা থেকে এই চা তৈরি হয়েছে। উপহারের তালিকায় দার্জিলিঙের সঙ্গে নীলগিরির চা পাতাও রয়েছে। তবে বিশ্ব বাজারে দার্জিলিং চায়ের আলাদা সমাদর রয়েছে। চা বলয়ের প্রবাদ— বাকিংহাম প্যালেসে প্রতি ভোরে যে বাতাস ঢোকে, সে বাতাস দার্জিলিং চায়ের সুগন্ধ গায়ে মেখে ফিরে যায়। সম্প্রতি যুবরাজ চার্লসের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত ভোজসভা আর আপ্যায়নেও হাজির ছিল দার্জিলিং চা।
এহেন ইতিহাসের আবহ আর চিরকালীন সুগন্ধে ঠাসা দার্জিলিঙের চা পাতা যে দেশে আগত অতিথিদের উপহার দেওয়া হবে, তাতে খুব একটা আশ্চর্য নয় উত্তরের চা মহল্লা। তাই জি২০ সম্মেলনে আসা বিভিন্ন দেশের প্রধানদের হাতে দার্জিলিং চা পাতা উপহার দেওয়ার খবর তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের মুখ্য উপদেষ্টা সন্দীপ মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘জি২০ সম্মেলনে দার্জিলিং চা উপহার দেওয়া দার্জিলিঙের চা শিল্পের পক্ষে গৌরবের।’’
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অন্তত তিন হাজার ফুট উপরে তৈরি হয়েছে এই চা পাতা। পাঁচ হাজার ফুট পর্যন্ত উচ্চতার বাগান থেকে তোলা হয়েছে। একটি নামী এবং অভিজাত বিপণন প্রতিষ্ঠান থেকে এই দার্জিলিং চা পাতা সংগ্রহ করেছেন নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলনের আয়োজকেরা। এর আগে, বিদেশের মাটিতে হওয়া একাধিক ফুটবল বিশ্বকাপেও সরকারি পানীয়ের তালিকায় দার্জিলিং চা পাতা থেকেছে। এ বছর উৎপাদন কম হলেও, দার্জিলিং চা পাতার মানে তেমন ছাপ পড়েনি। দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দাবি, আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন, বিশেষ কিছু বাগানের চা পাতা দার্জিলিঙে তৈরি করা হয় যত্ন করে। সে সব চা পাতা বিদেশের বিপণন সংস্থা সরাসরি কিনে নেয়। তেমনই জি২০ সম্মেলন শুরুর ঢের আগে, দার্জিলিঙের বিশেষ বাগান থেকে চা পাতা বাছাই করা হয়েছিল, দেশে আসা অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।