মাছের টানে ভিড় বাড়ছে গজলডোবায়

চিংড়ির চপ থেকে শুরু করে বৈরালী মাছের ভাজা৷ সঙ্গে আরও নানা পদ৷ আর এই মাছের টানেই পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে গজলডোবার তিস্তা নদীর ধারে৷ মাছের রকমারি স্বাদ পেয়ে একদিকে যেমন খুশি দূর-দূরান্তের পর্যটকরা, তেমনই তাঁদের তা খাইয়ে কিছু টাকা আয় করে হাসি ফুটছে এলাকার বাসিন্দাদেরও৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ১৪:৫৪
Share:

রসনা: গজলডোবায় মাছের স্বাদ নিচ্ছেন পর্যটকেরা। ছবি: সন্দীপ পাল

চিংড়ির চপ থেকে শুরু করে বৈরালী মাছের ভাজা৷ সঙ্গে আরও নানা পদ৷ আর এই মাছের টানেই পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে গজলডোবার তিস্তা নদীর ধারে৷ মাছের রকমারি স্বাদ পেয়ে একদিকে যেমন খুশি দূর-দূরান্তের পর্যটকরা, তেমনই তাঁদের তা খাইয়ে কিছু টাকা আয় করে হাসি ফুটছে এলাকার বাসিন্দাদেরও৷

Advertisement

কয়েক বছর আগেও অবশ্য পরিস্থিতিটা অন্যরকম ছিল৷ গজলডোবায় তিস্তা ব্যারাজের ওপর রাস্তাটার হাল ছিল খুবই খারাপ৷ ফলে এই রাস্তায় কখনওই পর্যটকেরা যেতেন না৷ কিন্তু তিন-সাড়ে তিন বছর আগে রাস্তাটির চেহারা পাল্টে যায়। সেই সঙ্গেই পাল্টাতে শুরু করে এলাকার অবস্থাও৷ স্থানীয় একটি দোকানের মালিক নারায়ণ বালা বলেন, ‘‘আগে আমার চায়ের দোকান ছিল৷ এখন সেটাই হয়ে গিয়েছে মাছের হোটেল৷ যেখানে নানা পদ থাকলেও মাছ ভাজার টানে প্রতিদিনই আসছেন প্রচুর পর্যটক৷’’

আগে ওই এলাকায় হাতে গোনা দুটি বড় দোকানই ছিল৷ কিন্তু ভিড় বাড়তে থাকায় রাস্তার ধারে অনেকেই অস্থায়ী চিংড়ির চপ বা মাছ ভাজার দোকান করেছেন৷ আর বড় দোকানগুলিতে চিংড়ির চপ বা বৈরালি ভাজা তো মিলছেই, সেইসঙ্গে মিলছে চিংড়ির ঝাল, বৈরালির ঝোল বা চচ্চড়ি৷ আরেক দোকানদার বিনয়ভূষণ সাহা জানাচ্ছেন, ‘‘গজলডোবার রাস্তাটি ভাল হওয়ার পর শিলিগুড়ি থেকে এই রাস্তার ওপর দিয়ে প্রতিদিনই পর্যটক লাটাগুড়ি, গরুমারা বা লাভা যাচ্ছেন৷ প্রথম দিকে সেভাবে কেউ জানতেন না যে এখানে মাছ ভাজা পাওয়া যায়৷ তারপর গাড়ি চালকদের মুখে মুখেই তা প্রচার হয়ে যায়৷ তারপর থেকেই পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে৷’’ যেমন এসেছেন কলকাতার ডানলপের সৌমিক রায়। পরিবারের সঙ্গে গরুমারা ঘুরতে এসে পথে গজলডোবায় মাছ ভাজা খেয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এখানকার মাছভাজার কথা অনেক শুনেছি৷ এ বারই প্রথম খাওয়ার সুযোগ পেয়ে বেশ ভাল লাগলো৷’’ যাদবপুরের সৃঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘুরতে বেরিয়ে রাস্তায় যদি এমন মাছ ভাজা পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই৷’’

Advertisement

কিন্তু কিসের টানে গজলডোবায় মাছ এত পছন্দ করছেন পর্যটকেরা? স্থানীয়দের দাবি, এখানে যে যে মাছের পদ হয় তার বেশিরভাগই তিস্তা থেকে ধরা হয়৷ এবং একেবারে টাটকা মাছটাই তারা পান৷ আর তিস্তা ব্যারাজের উত্তর-পশ্চিম পাশের একটি জলাশয়ে চাষ হচ্ছে চিংড়ির৷ সেখানকার টাটকা চিংড়ি দিয়েই তার নানা পদ তৈরি করা হয়৷ টাটকা মাছের স্বাদেই আসছেন সকলে। স্থানীয় মান্তাদারি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সহদেব মণ্ডল বলেন, ‘‘গজলডোবায় ভিড় বাড়তে থাকায় অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও বেড়েছে৷ অনেকে রাস্তা পাশে নতুন নতুন দোকান খুলছেন৷’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement