Political Clash

চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ সিপিএম কর্মীর মৃত্যু শিলিগুড়ির হাসপাতালে, পাঁচ দিন লড়াইয়ের পর হার

গত ১৫ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ বেধেছিল চোপড়ায়। বাম এবং কংগ্রেসের অভিযোগ, সেই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন মনসুর আলম।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ১৭:১০
Share:

মনসুর আলম। — নিজস্ব চিত্র।

বেসরকারি হাসপাতালে টানা পাঁচ দিন ধরে লড়াই চালানোর পর অবশেষে হার মানলেন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ সিপিএম কর্মী মনসুর আলম। মঙ্গলবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। মনসুরের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও।

Advertisement

গত ১৫ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ বেধেছিল চোপড়ায়। বাম এবং কংগ্রেসের অভিযোগ, সেই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন মনসুর। মাথায় গুলি লেগে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রাথমিক ভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্থানীয় হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। অবশেষে হার মানলেন মনসুর। তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এর পর দেহ তুলে হয় পরিবারের হাতে।

মনসুরের মামা শাহাজাহান বলেন, ‘‘ঘটনার দিনই শিলিগুড়ির এই বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল। প্রথম এক থেকে দু’দিন ভাল ছিল। তার পর থেকেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসকেরাও একই কথা জানান। গতকাল রাতে সে মারা যায়। এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি৷ প্রশাসন থেকে যাদের গ্রেফতার দেখাচ্ছে তারা এই ঘটনার সঙ্গেই জড়িত নয়। মূল আসামিরা পুলিশের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’

Advertisement

মনসুরের আত্মীয় আইনুল হকের কথায়, ‘‘দোষীরা পুলিশের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।’’ প্রসঙ্গত ওই সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement