পাশে: দুর্গতদের জন্য ত্রাণ জোগাড় বামের। —নিজস্ব চিত্র।
বন্যার্তদের উদ্ধার এবং ত্রাণ বিলি নিয়ে রাজ্যকে দুষলেও দলের সংগ্রহ করা অর্থ সরকারের হাতে তুলে দিতে আপত্তি নেই সিপিএম তথা বামেদের। দক্ষিণবঙ্গের পরে এ বার উত্তরবঙ্গের বন্যা দুর্গতদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে সিপিএম। শুক্রবার জেলা বামফ্রন্টের তরফে বিধান মার্কেট সহ শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক জীবেশ সরকার নিজেও ত্রাণ সংগ্রহে ছিলেন। বামেদের সংগ্রহ করা অর্থ কী করে বন্যা দুর্গতদের হাতে তুলে দেওয়া হবে তা পরবর্তীতে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন বামেরা। প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের হাতেও অর্থ দিতে পারেন তাঁরা। এ দিন জীবেশবাবু বলেন, ‘‘প্রথমে সংশ্লিষ্ট জেলা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে। সরকারের হাতেও টাকা দেওয়া হতে পারে।’’
বন্যা পরিস্থিতিতে উদ্ধার ও ত্রাণ বিলির কাজে সরকারের ভূমিকা নিয়ে এ দিন শিলিগুড়িতে পৃথক ভাবে সরব হয়েছে বাম-বিজেপি। দু’দলেরই প্রশ্ন, কেন মুখ্যমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি দেখতে উত্তরবঙ্গে আসছে না। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশবাবু এবং বিজেপির জেলা সভাপতি প্রবীণ অগ্রবাল দু’জনে হেলিকপ্টার নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। প্রবীণ অগ্রবাল বলেন, ‘‘হেলিকপ্টার করেই তো মুখ্যমন্ত্রী বারবার উত্তরবঙ্গে আসেন। এখন হেলিকপ্টারে করে এসে ত্রাণ বিলিতে নজরদারি করতে পারতেন।’’ বাম-বিজেপির কটাক্ষকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁর পাল্টা জবাব, ‘‘সেচ মন্ত্রী –সহ রাজ্যের চার মন্ত্রী বন্যা বিপর্যস্ত জেলাতে রয়েছেন। ত্রাণ বিলির কাজে যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে তার দিকে সর্বক্ষণ নজর রয়েছে। কিন্তু কিছু দল এবং নেতা সর্বক্ষণ রাজনীতিতেই নজর দিচ্ছেন।’’