প্রস্তুতি: নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তার কিছুক্ষণ পরেই ভোটের প্রচারে শহরের পথে মিছিল করলেন রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
রবিবার লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচার শুর করে দিলেন রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম।
আগামী ১৮ এপ্রিল রায়গঞ্জে নির্বাচন হওয়ার কথা। এ দিন সেলিম সিপিএমের কয়েকশো নেতা-কর্মীকে নিয়ে শিলিগুড়ি মোড় থেকে হাসপাতাল রোড এলাকার উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের রায়গঞ্জ ডিপো পর্যন্ত মিছিল করেন। সিপিএমের অবশ্য দাবি, নির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে মিছিলের সম্পর্ক নেই। পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিছিল হয়।
তবে, এ দিন সেলিম নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিলেও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে জেলায় সিপিএমের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ এখনও কাটেনি। রায়গঞ্জ আসনটি সিপিএমকে ছাড়া হবে না বলে প্রায় দু’মাস আগে ঘোষণা করেন উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত। জেলা কংগ্রেসের তরফে রায়গঞ্জের দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন সাংসদ দীপা দাশমুন্সিরও নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সিপিএমের তরফে রায়গঞ্জে মহম্মদ সেলিমের নাম ঘোষণা করা হয়। সিপিএমের যুক্তি, রায়গঞ্জ কেন্দ্রটি সিপিএমের দখলে, তাই ওই আসন কংগ্রেসকে ছাড়ার প্রশ্ন নেই।
এ দিন সেলিম দাবি করেন, বিজেপি ও তৃণমূলের বিভেদমূলক রাজনীতি, সন্ত্রাস, অনুন্নয়ন, বঞ্চনা ও দুর্নীতির প্রতিবাদে এ বছরও জেলার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন বাসিন্দারা রায়গঞ্জ কেন্দ্রে আমাকে জয়ী করবেন।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দের বক্তব্য, নির্বাচনী প্রচার নিয়ে দলের বক্তব্য নেই। তবে দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জেলা কমিটির তরফে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে দীপা দাশমুন্সিকে কংগ্রেসের প্রার্থী করার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের বক্তব্য, সেলিমবাবুরাই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে নির্বাচনে জেতার চেষ্টা করছেন। মানুষ বিজেপিকেই ভোট দেবেন।
জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের দাবি, জেলার উন্নয়নের স্বার্থে মানুষ রায়গঞ্জ কেন্দ্রে তৃণমূলকে জয়ী করবেন। সিপিএম ও বিজেপি দ্বিতীয় স্থান দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।