সিপিএম কর্মী প্রহৃত, অভিযুক্ত তৃণমূল

এক সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে শিলিগুড়ি ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাতঙ্গিনী কলোনি এলাকার ঘটনা। সিপিএমের ওই কর্মী দিলীপ গুপ্তকে জখম অবস্থায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৬ ০২:২২
Share:

এক সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে শিলিগুড়ি ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাতঙ্গিনী কলোনি এলাকার ঘটনা। সিপিএমের ওই কর্মী দিলীপ গুপ্তকে জখম অবস্থায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে শিলিগুড়ি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় জেলা সিপিএম কর্মীরা।

Advertisement

মারধরের অভিযোগ জানিয়ে ১১ জনের নামে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরাও সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। শিলিগুড়ির মেয়র সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, তৃণমূল ভোটে হার নিশ্চিত জেনে হতাশা থেকে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। যদিও বিষয়টি রাজনৈতিক নয় বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

অশোকবাবু বলেন, ‘‘আমি বাইরে রয়েছি। আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন দলের কর্মীরা। তৃণমূল নিজেদের পতন বুঝতে পেরে এই সব কাণ্ড ঘটনাচ্ছে। পুলিশকেই বিষয়টি নিরপেক্ষ ভাবে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতির দাবি, ‘‘এটা ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত ঝামেলা। তাকে সিপিএম অযথা রাজনীতির রং দিচ্ছে। কী হয়েছে সেটা পুলিশই খতিয়ে দেখুক। আমার কিছু বলার নেই।’’

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন সিপিএম কর্মী পেশায় রিকশাওয়ালা দিলীপ গুপ্ত। সিপিএমের দাবি, তাঁকে রাস্তায় আটকে মারধর করে গোপাল ঘোষ, বিপুল ঘোষ, কৈলাস পাসোয়ান সহ ১০-১২ জন তৃণমূল কর্মী। দিলীপবাবুর দাবি, ‘‘কেন সিপিএমকে ভোট দিয়েছি বলে গালাগাল দিতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে রিকশা থেকে টেনে নামিয়ে মারধর করে অভিযুক্তরা।’’ ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শর্মিলা দাস দাবি করেন, অভিযুক্তরা সমাজবিরোধী। পুলিশকে বারবার বলা হলেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করে না। তিনি বলেন, ‘‘গোপাল ঘোষ ওরফে বাউ দুষ্কৃতীদের পাণ্ডা। এলাকায় সব সময় সন্ত্রাসের আবহ সৃষ্টি করে রাখে। ওঁরাই কয়েকজন মিলে দিলীপকে মেরেছে। এমনকী আমরা সকালে যখন শিলিগুড়ি থানায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম তখন আরও একজনকে মারধর করে তার নাম হানা পাসোয়ান।’’ পুলিশ এদের গ্রেফতার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলে জানান তিনি। এদিন থানায় বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন শর্মিলাদেবী ও ডিওয়াইএফআইয়ের শিলিগুড়ি জোনাল কমিটি সম্পাদক উদয়ন দাশগুপ্ত। তবে মূল অভিযুক্ত গোপাল ঘোষকে একাধিকবার ফোনে ধরার চেষ্টা করা হলে, তাঁর মোবাইল সুইচড অফ পাওয়া যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement