বার্তা: জেলা কার্যালয়ে সিপিএম প্রার্থী ভগীরথ রায়ের সাংবাদিক বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ চালু করার কৃতিত্বের দাবিদার হিসাবে নিজেদের তুলে ধরেছে সিপিএম। নির্বাচনী প্রচারে এই বিষয়ও ব্যবহার করা হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর। সিপিএম’র তরফে জলপাইগুড়ি শহরে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ চালু করার জন্য এর মধ্যেই চার দশকের এই দাবিতে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে অভিনন্দনও জানানো হয়েছে। এবারে লিফলেট বিতরণ করার কাজ শুরু করা হয়েছে দলের তরফে ।
দলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, ‘‘আমরা উত্তরবঙ্গের জন্য জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ চালু করার দাবি জানিয়েছিলাম। বর্তমানে অস্থায়ী সার্কিট বেঞ্চে উত্তরবঙ্গের সব জেলাকে যুক্ত করা হয়নি। অবিলম্বে উত্তরবঙ্গের জন্য পূর্ণাঙ্গ সার্কিট বেঞ্চ চালু করার দাবি জানাচ্ছি আমরা।’’
জলপাইগুড়ি জেলা বামফ্রন্টের তরফে প্রচারিত লিফলেটে জানানো হয়েছে, ১৯৯৮ সালে কলকাতা হাইকোর্ট জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই তদানীন্তন বাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সময়ে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় অস্থায়ী ভাবে বেঞ্চ চালু করার কাজ শুরু হয়। সেচ বিভাগের তিস্তা ভবনে বিচারপতিদের আবাসন গড়ার কাজ শুরু করা হয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৪০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সময়ে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার বেঞ্চের সব পরিকাঠামো গড়ে তোলে।
এদিকে, রবিবার জলপাইগুড়িতে দলের জেলা কার্যালয়ে সিপিএম প্রার্থী ভগীরথ রায়কে নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মৃদুল দে এবং জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য। ভগীরথ বলেন, ‘‘আমি সরাসরি কখনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের জনস্বার্থ বিরোধী নীতিগুলোর কথা প্রচারে তুলে ধরছি। জলপাইগুড়ি জেলার বন্ধ ও রুগ্ন চা বাগানের শ্রমিকদের অসহায় অবস্থার কথাও প্রচারে আনছি। ২০১৪ সালে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য অনেক কিছু করবে। বন্ধ বাগান অধিগ্রহণ করা হবে বলেও তাঁরা বলেছিল। চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য এই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই করেনি। একই সঙ্গে বিজেপির মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির কথাও প্রচারে উঠে আসছে।’’