বিজেপির সঙ্গে জোট কোনও ভাবেই নয়। সিপিএমের দলীয় লাইন এমনই। কিন্তু সোমবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিনই সে সিদ্ধান্ত বেলাইন হল। এ দিন বিজেপির সঙ্গে জোট করেই বোর্ড দখল করল সিপিএম। যদিও জোটের কথা স্বীকার করেনি কোনও পক্ষই। তবে, দীর্ঘ দিনের তৃণমূল-বিজেপির জোটের দখলে থাকা বংশীহারি ব্লকের ব্রজবল্লভপুর পঞ্চায়েত এ বার বাম-বিজেপির দখলে গেল।
এই পঞ্চায়েতের ১৭টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৮টি আসন। সিপিএম ৩টি। বাকি ৬টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। এ দিন বোর্ড গঠনের সময় বিজেপির সদস্যদের সঙ্গে সিপিএমের দু’জন উপস্থিত হয়ে বোর্ড গড়েন। সিপিএমের এক সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। চরম উত্তেজনার মধ্যে বোর্ড গড়ে প্রধান হন বিজেপির সারথী রায়। উপপ্রধান সিপিএমের জয়ন্ত সরকার। বিজেপির সঙ্গে জোটের খবরে ক্ষুব্ধ সিপিএমের জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস এবং বংশীহারি এরিয়া কমিটির সম্পাদক সকিরুদ্দিন আহমেদ দু’জনেই জানান ওই সদস্যদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য জোটের তত্ত্ব মানতে চায়নি। জেলা সাধারণ সম্পাদক মানস সরকার বলেন, ‘‘ব্রজবল্লভপুরে জোট হয়নি। সিপিএম আমাদের শুধু সমর্থন করেছে।’’
হরিরামপুর ব্লকের সৈয়দপুর পঞ্চায়েতও বাম, কংগ্রেস ও নির্দল জোট দখল করেছে। এখানেও তৃণমূলকে রুখতে বিরোধীরা জোট করেছিল। জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্দল সদস্য শাহনাজ পারভিন প্রধান ও সিপিএমের উইলিয়াম মুর্মু উপপ্রধান হয়েছেন। হরিরামপুরের সিপিএম বিধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘এখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সবাই জোটবদ্ধ হয়ে লড়েছিল। সেই ভাবেই ওরা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছে।’’ গঙ্গারামপুর ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬টি পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জয়ী হয়েছে। সেগুলির বোর্ড গঠনের বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি হয়নি। বাকি ৫টি পঞ্চায়েতেও শাসক দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় এই ব্লকে একটা পঞ্চায়েতও বিরোধীরা দখলে নিতে পারেনি।