তৃণমূলে যোগ জোট প্রার্থীর

নির্বাচনের ফল ঘোষণার কয়েকদিনের মধ্যে জোটের প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল চোপড়ায়। মঙ্গলবার সকালে চোপড়ার তৃণমূল প্রার্থী হামিদূল রহমানের বাড়িতে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী এক্রামুল হক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৬ ০১:৩৬
Share:

নির্বাচনের ফল ঘোষণার কয়েকদিনের মধ্যে জোটের প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল চোপড়ায়।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে চোপড়ার তৃণমূল প্রার্থী হামিদূল রহমানের বাড়িতে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী এক্রামুল হক। তিনি একাই নন, তাঁর স্ত্রী তথা উত্তরদিনাজপুরের জেলা পরিষদের সিপিএম এর সদস্য ইসমাতারা বেগম এবং তিনটি গ্রামপঞ্চায়েতের মোট ২৪ জন সদস্য সিপিএম ও কংগ্রেসে ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সিপিএম এর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মীনতি মারান্ডি সহ পাঁচ জন যোগ দেন তৃণমূলে। কাজেই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর চোপড়ায় সিপিএম বড় ধরণের ধাক্কা খেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকায় এক সময় সিপিএম এর প্রভাব ছিল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৪ জন সদস্য নিয়ে একক ভাবে বোর্ড গঠন করে সিপিএম। ২০০৬ সালেও বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন সিপিএমের আনওয়ারুল হক। কিন্তু ২০১১ সালে এই আসনে কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল হিসেবে জয়ী হয়ে পরে তৃণমূলে যোগ দেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। এ বার জোট প্রার্থী এক্রামূল হককে ১৬,৮৬০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী হামিদুল। ফল ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যেই চোপড়ার পরাজিত সিপিএম প্রার্থী এক্রামুল সস্ত্রীক যোগ দিলেন তৃণমূলে।

Advertisement

সিপিএম এর দাবি, ভোটের ফল বের হতেই এলাকায় লাগাতার সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। বাড়িঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি জরিমানা করা হচ্ছে তাদের দলের কর্মী সমর্থকদের। তাই কোনও উপায় না দেখেই দল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেকেই। সিপিএম এর উত্তরদিনাজপুরের জেলার সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, ‘‘এক্রামূল খুব সাহসী ছেলে। কিন্তু ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেও উনার উপরে চাপ তৈরী করা হচ্ছিল। তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল এলাকার তৃণমূল নেতারা। বিষয়টি নিয়ে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছিলাম সোমবারই। মঙ্গলবার এসডিপিওকে স্মারক লিপি দেওয়ার কথা থাকলেও যেতে পারিনি।’’

যদিও এক্রামুলের বক্তব্য, ‘‘রাজ্য জুড়েই সিপিএম এর ভরাডুবি হয়েছে। এই এলাকায় উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। তাই দল ছেড়েছি। কেউ জোর করেনি, আমি স্বেচ্ছায় দল পরিবর্তন করেছি।’’

এক্রামুল হক তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিধায়কের বাড়ির সামনে এ দিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের দাবি, এই নির্বাচনে যার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, তিনি দলে যোগ দিক, তা চান না তাঁরা। তবে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, ‘‘সিপিএম থেকে প্রার্থী হয়ে এক্রামুল বুঝতে পেরেছেন তিনি কতটা ভুল করেছেন। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই তিনি আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। এতে আমি খুব খুশি।’’ তবে এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হামিদুল রহমান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement