প্রার্থীর সঙ্গে বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে এক সিপিএম সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতে বক্সিরহাট থানার বারকোদালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীরহাট বাজারের কাছে ওই ঘটনা ঘটেছে। বাম-কংগ্রেস জোট নেতৃত্বের অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে জোট সমর্থকদের রাস্তায় আটক করেন তৃণমূল মদতপুষ্টরা। তাঁদের মধ্যে ভজন বসাক নামে এক সিপিএমকে সমর্থককে মারধরও করা হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ওই রাতেই প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান হয়েছে।
সিপিএম ও কংগ্রেস সূত্রের খবর, এ বার তুফানগঞ্জ কেন্দ্রে বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ জোট প্রার্থী হিসাবে কংগ্রেসের শ্যামল চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রবিবার শ্যামলবাবু বক্সিরহাটে যান। একাধিক ঘরোয়া বৈঠক করেন। বক্সিরহাটের ভাড়েয়া এলাকায় সিপিএম নেতা ধনঞ্জয় রাভার বাড়িতেও একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে যোগ দিতে লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা দুই দলের সমর্থকরা হাজির হন। তাদের কয়েকজন বাড়ি ফেরার সময় চণ্ডীরহাট বাজার লাগোয়া এলাকায় আক্রান্ত হন। তুফানগঞ্জ ১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি দেবেন বর্মা বলেন, “প্রার্থীর ঘরোয়া সভায় হাজির হওয়ার অপরাধে জোটের কর্মীদের ওপর তৃণমূলের লোকেরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। রাস্তায় আটক করে হুমকি দেওয়া হয়। একজন নিগৃহীতও হন। বিষয়টি নিয়ে ফোনে প্রশাসনের কর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছি।” বক্সিরহাটের সিপিএম নেতা ধনঞ্জয় রাভা বলেন, “তৃণমূলের হামলার মুখে পড়ে কয়েকজন দৌড়ে পালালেও ভজন দাস নামে দলের এক সমর্থককে মারধর করা হয়। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসাও করাতে হয়েছে। তৃণমূল আতঙ্ক ছড়াতে চাইছে।”
তৃণমূলের তরফে ওই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের বক্সিরহাট ব্লক কার্যকরী সভাপতি স্বপন সাহা বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই অভিযোগ তোলা হয়েছে।’’ প্রশাসন সূত্রের খবর, টেলিফোনে অভিযোগ পাওয়ার পরেও ওই এলাকায় যান পুলিশকর্মীরা। বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। তুফানগঞ্জের মহকুমা শাসক মণীশ বর্মা বলেন, “ফোনে অভিযোগ পাওয়ার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”