বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলকেও সামিল করতে চান নকশালপন্থীরা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সব বিরোধী শক্তির ঐক্য গড়ে তোলার সলতে পাকানো শুরু হয়েছে। তাতে রয়েছেন বামপন্থীরাও। শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় কমিটির তিন দিনের বৈঠকের শেষে সিপিআইএমএল-লিবারেশনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিরোধী মঞ্চে তৃণমূল পাশে থাকলেও তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। উল্টে তৃণমূলের প্রসঙ্গে দীপঙ্করবাবুর মন্তব্য, ‘‘দেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় বিপদ হল বিজেপি। গণতন্ত্র বাঁচাতে সব বিরোধী দলগুলির এক সঙ্গে সামিল হওয়া উচিত।’’
তবে তৃণমূলের কেউ এই ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি।
বেশ কিছু দিন ধরেই বামপন্থীদের একজোট করতে সওয়াল করেছেন একাংশ নেতারা। দীপঙ্করবাবুও গত বুধবার শিলিগুড়িতে প্রকাশ্য সভা থেকে বামপন্থীদের একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। বাম ঐক্যের কথা বলেছিলেন দীপঙ্করবাবু। তিন দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পরে এ বার বৃহত্তর ঐক্যের কথা শোনা গেল তাঁর মুখে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী ঐকমত্য তৈরির আলোচনায় তৃণমূল নেত্রী এবং বামেরাও যোগ দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গেই দীপঙ্করবাবুর মন্তব্য, ‘‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে দেশের গণতন্ত্র রক্ষা সব নিয়েই বিরোধীদের এক মঞ্চে আসতে হবে। বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’’ নকশালবাড়ি আন্দোলনের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে এ বার শিলিগুড়িতে লিবারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হল।
তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি বিরোধী মঞ্চে থাকলেও রাজ্যে আন্দোলনের কোনও পরিবর্তন হবে না বলেও লিবারেশনের তরফে জানানো হয়েছে। ভাঙড়ে জমি নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছে লিবারেশন। এ দিন ভাঙড়ের প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রণম করেছেন তিনি। তবে দেশের সাম্প্রতিকতম পরিস্থিতিতে আপাত বিজেপি বিরোধিতাই রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা বলে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে স্থির হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচিও চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।