প্রতীকী চিত্র।
তিনি ছিলেন গত পঞ্চায়েত ভোটের তৃণমূলের মালদহের পর্যবেক্ষক। এ বার দল বদলে, সে মালদহেই দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় কার্যত সন্ত্রাসের কথা ‘স্বীকার’ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী— এমনই দাবিতে সরব বামেরাএবং কংগ্রেস।
বিজেপির উত্তর মালদহের সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত অবশ্য বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে তৃণমূল ভোট লুট করেছিল জেলায়। তার পরেও জেলায় বিজেপি ভাল ফল করেছে, সে কথাই শুভেন্দু সভায় বলেছেন।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর মন্তব্য, ‘‘শুভেন্দুর পাপের ফল আমাদের ভুগতে হচ্ছে। কারণ,সন্ত্রাসের রাজনীতিতে দল বিশ্বাস করে না।’’
২০১৬ সাল থেকে দলবদলের আগে পর্যন্ত মালদহের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সে সময় ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট এখনও জেলার চর্চার বিষয় হয়ে রয়েছে। এখনও পঞ্চায়েত ভোটের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে এক সুরে আক্রমণ করে বাম, কংগ্রেস থেকে বিজেপিও।
রাজনেতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগকে হাতিয়ার করে ২০১৯ সালের লোকসভায় জেলায় বিজেপি সাফল্য পেয়েছিল। সেই বিজেপিতে গিয়ে গাজলের সাংগঠনিক সভায় পঞ্চায়েত ভোটের সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলেছেন শুভেন্দুই। তিনি বুধবারের সভায় বলেছেন, ‘‘মালদহে পঞ্চায়েতে তৃণমূল ভোট লুট করেছিল। তবে গাজল, হবিবপুর, বামনগোলায় ভোট লুট করতে পারেনি। আপনারা তির-ধনুক নিয়ে ভোট লুট রুখে দিয়েছিলেন।’’ এর পরেই তিনি দাবি করেন, জেলায় তৃণমূলের চাষ তিনি করেছেন। ভুল করেছিলেন বলেও সভায় দাবিকরেন শুভেন্দু।
এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বাম, কংগ্রেস নেতারা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, "শুভেন্দু অধিকারীই ভোট লুটের নায়ক ছিলেন। এমনকি, গণনা কেন্দ্রেও তিনি ভোট লুট করিয়েছিলেন। তিনি দল বদলালেও, মানুষ বদলাননি। মানুষ কিছুই ভুলে যাননি।’’ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তণ বিধায়ক মোত্তাকিম আলম বলেন, ‘‘ভোট লুটের রাজনীতি শুভেন্দুই জেলায় আমদানি করেছেন। দল বদলে এখনসাধু সাজছেন।’’
বিজেপি নেতাদের দাবি, জেলায় ২৬টি পঞ্চায়েত, দু’টি পঞ্চায়েত সমিতি একক ভাবে দল দখল করেছিল। এ ছাড়া, জেলা পরিষদেও ছ’টি আসনে বিজেপি জয়ী হয় বলে জানান উজ্জ্বল।