অসন্তোষ: রেশনের কুপন বিলি নিয়ে বিক্ষোভ। মানিকচকে। নিজস্ব চিত্র
ভিন্ রাজ্য ফেরত শ্রমিকদের রেশনের কুপন বিলি ঘিরে বিক্ষোভ অব্যাহত মালদহে। সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকায় গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভের জেরে কুপন বিলি বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। মঙ্গলবার একই ঘটনা ঘটে জেলার দুই প্রান্তে। প্রকৃত শ্রমিকের নাম তালিকায় নেই বলে অভিযোগ তুলে এ দিন সকালে মানিকচকের নাজিরপুরে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। তালিকায় নাম না থাকার অভিযোগে চাঁচলের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকদের একাংশ। তার জেরে কুপন বিলি মাঝপথে বন্ধ করে দিতে হয়। প্রকৃত শ্রমিকদের নাম তালিকায় না থাকা নিয়ে প্রশাসনকে দায়ী করেছেন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।
জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের নিয়ামক পার্থ সাহা বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের নামের তালিকা নানা ভাবে আসছে। গৌড়কন্যা বাসস্ট্যান্ড, স্টেশনে যাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে, সেই তালিকা প্রশাসনের কাছে রয়েছে। যাঁরা তালিকার বাইরে রয়েছেন, তাঁদের বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।’’
এ দিন মানিকচকের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কুপন নিতে এসেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কিন্তু তালিকায় নাম নেই জেনে পঞ্চায়েতের সামনে মালদহগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েক জন। তাঁদের অভিযোগ, ৩১০ জনের কুপন এসেছে। অথচ ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরেছেন এক হাজারেরও বেশি শ্রমিক। একই ভাবে চাঁচলের মতিহারপুরে অভিযোগ ওঠে, ওই পঞ্চায়েতে ভিন্ রাজ্য ফেরত অনেক শ্রমিকের নাম নেই। উল্টে যাঁরা পরিযায়ী শ্রমিক নন তাঁদের অনেকের নাম তালিকায় রয়েছে।
সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, এলাকায় ১৩টি কোয়রান্টিনে যাঁরা ছিলেন তাঁদের নামের তালিকা বিডিও ও পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও অনেকের নাম তালিকায় ওঠেনি। যাঁরা পরিযায়ী শ্রমিক নন, এমন কয়েক জনের নাম তালিকায় কী ভাবে এল তা তাঁরা জানেন না। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পিঙ্কি খাতুন বলেন, ‘‘আমরা চাই প্রকৃত পরিযায়ী শ্রমিকরাই রেশন পান।’’