‘স্বর্গে যাচ্ছি!’ লিখে ট্রেনের নীচে যুগল

রেল পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই যুবকের বাড়ি মাথাভাঙার লতাপাতা এলাকায়। কিশোরীর বাড়ি জলপাইগুড়ির পাঁচকাটা এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘোকসাডাঙা শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৮
Share:

প্রেমিকার সঙ্গে সেলফি তুলে তাতে ক্যাপশন লিখেছিলেন—‘‘আজ আমরা স্বর্গে যাচ্ছি।’’ রবিবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে তা দেওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান দু’জনে। রাত ১০টা নাগাদ ঘোকসাডাঙা ও সাজেরহাট রেলস্টেশনে মাঝে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় এক যুবক ও এক কিশোরীর। সাড়ে ন’টা নাগাদ একটি মালগাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়ে তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে জানান রেল পুলিশের ঘোকসাডাঙা স্টেশনের ওসি শুভজিৎ ঝা।

Advertisement

রেল পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই যুবকের বাড়ি মাথাভাঙার লতাপাতা এলাকায়। কিশোরীর বাড়ি জলপাইগুড়ির পাঁচকাটা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক পড়াশোনার জন্য দাদুর বাড়ি জলপাইগুড়িতে থাকতেন। সেখানেই নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু দুই পরিবার বেঁকে দাঁড়ায়। যোগাযোগ বিছিন্ন করতে চাপ দেয় দু’জনকে। পারিবারিক অশান্তি এড়াতে ওই যুবককে দাদুর বাড়ি ছাড়তে হয়। তিনি তাঁর নিজের বাড়িতে চলে আসেন। বেশ কয়েক দিন দু’জনের আর সম্পর্ক ছিল না। হঠাৎ করে রবিবার দুপুরে ওই কিশোরী যুবকের বাড়ি চলে যায়। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, তারপরেই ওই যুবকের বাড়ির লোক দু’জনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিশোরীকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে যান ওই যুবক। তারপরেই তিনি ফেসবুকে নিজেদের ছবি দিয়ে পোস্টটি করেন।

ওই যুবকের মা বলেন, ‘‘ওই কিশোরী আমার খুড়তুতো বোন। তার সঙ্গে ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দু’জনে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু এই বিয়ে নিয়ে আমাদের দুই পরিবারের আপত্তি ছিল। আমরা দু’জনকে বুঝিয়েছিলাম। কিন্তু তারা যে এ ভাবে চলে যাবে, আমরা বুঝতে পারছি না।’’ ঘটনাস্থলে রেল পুলিশের পাশাপাশি ঘোকসাডাঙা থানার পুলিশও গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ দু’টি আলিপুরদুয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement