Corpse

পুকুরে উদ্ধার তৃণমূল নেতার দেহ

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পুকুরের জলে আংশিক ডুবে রয়েছে স্কাইলারের দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তৃণমূল নেতার দেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। রবিবার ওই হাসপাতালেই দেহের ময়নাতদন্ত করায় পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাস্তার ধারে পুকুর থেকে উদ্ধার হল এক তৃণমূল নেতার মৃতদেহ। সেখান থেকে মৃতের মোটরবাইক ও হেলমেটও পাওয়া গিয়েছে। শনিবার রাত ১১টা নাগাদ রায়গঞ্জ থানার রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাজিরপুরের পালপাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম স্কাইলার বর্মণ (৩৯)। তাঁর বাড়ি রায়গঞ্জের মহীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেসুরা এলাকায়। তিনি মহীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসে রামপুর ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে শিক্ষাকর্মীর পদের জন্য নিয়োগপত্র পান স্কাইলার। কিন্তু লকডাউনের জেরে স্কুল বন্ধ থাকায় কাজে যোগ দিতে পারেননি তিনি। ওইদিন রাতে বাড়ি থেকে আট কিলোমিটার দূরে একটি পুকুরে জলের ভিতর থেকে মোটরবাইকের হেডলাইটের আলো জ্বলতে দেখেন বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পুকুরের জলে আংশিক ডুবে রয়েছে স্কাইলারের দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তৃণমূল নেতার দেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। রবিবার ওই হাসপাতালেই দেহের ময়নাতদন্ত করায় পুলিশ।

স্কাইলারের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ওই তৃণমূল নেতার পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে, না কি মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, "তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।"

Advertisement

স্কাইলারের স্ত্রী কলাপতি গৃহবধূ। তাঁদের আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মৃতের ভাই পলাশ বলেন, "রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে পথ দুর্ঘটনায় দাদার মৃত্যু হয়েছে, না কি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে তা পুলিশকে তদন্ত করে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনে পুলিশে অভিযোগ করব।"

রায়গঞ্জ ১ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি মানসকুমার ঘোষ বলেন, "গত বৃহস্পতিবার স্কাইলার বিজেপি পরিচালিত মহীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন।’’ রায়গঞ্জ ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সত্যজিৎ বর্মণের অভিযোগ, ‘‘সেই আক্রোশেই বিজেপির দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিতভাবে ফাঁকা রাস্তায় স্কাইলারকে খুন করে বাইক-সহ দেহ পুকুরে ফেলে দিয়ে থাকতে পারে বলে আমাদের সন্দেহ।"

বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, "তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ওই তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন কিংবা মদ্যপ অবস্থায় মোটরবাইক চালানোর সময়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement