Coronavirus

ফিরতে হচ্ছে প্রতিষেধক না থাকায়, প্রশ্ন

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণকুমার শর্মার দাবি, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রয়োজনের ভিত্তিতে জেলায় করোনার প্রতিষেধক ‘কোভিশিল্ড’ ও ‘কোভ্যাক্সিন’ বরাদ্দ করে।

Advertisement

গৌর আচার্য 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:২৯
Share:

আকাল বুস্টারের। প্রতীকী চিত্র।

কেউ বুস্টার ডোজ় নিতে চান, কেউ আবার দ্বিতীয় ডোজ়। দেশে নতুন করে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েক দিন ধরে উত্তর দিনাজপুর জেলায় করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাসিন্দাদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু তাঁদের প্রতিষেধক না নিয়েই ফিরতে হচ্ছে। কারণ, গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে করোনার প্রতিষেধকের ভাঁড়ার শূন্য। বর্তমানে দেশে ও রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে বিভিন্ন কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। এমতাবস্থায় জেলায় করোনার প্রতিষেধক কেনও অমিল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

Advertisement

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণকুমার শর্মার দাবি, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রয়োজনের ভিত্তিতে জেলায় করোনার প্রতিষেধক ‘কোভিশিল্ড’ ও ‘কোভ্যাক্সিন’ বরাদ্দ করে। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে করোনার প্রতিষেধক পাঠাবে।’’

রায়গঞ্জ মেডিক্যালের করোনার প্রতিষেধক নিয়ন্ত্রক আধিকারিক সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চলতি বছরের গোড়া থেকে জেলায় করোনার সংক্রমণ কমতে থাকে। গত দু’মাস ধরে মেডিক্যালে করোনা আক্রান্ত কেউ ভর্তি হননি। গত ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে মেডিক্যালে বাসিন্দাদের করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার চাহিদা ছিল না। কিন্তু দেশে নতুন করে করোনা আবহ ফিরে আসায় গত কয়েক দিন ধরে অনেকেই মেডিক্যালে করোনার প্রতিষেধক নিতে আসছেন। সব্যসাচী বলেন, ‘‘প্রতিষেধক না থাকায়, তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৫ লক্ষ বাসিন্দা করোনার প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছেন প্রায় ৩০ লক্ষ বাসিন্দা। বুস্টার ডোজ় নিয়েছেন প্রায় পাঁচ লক্ষ বাসিন্দা। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল-সহ জেলার ন’টি ব্লকের ১২টি সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হয়।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, দেশে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হতেই গত কয়েক দিন ধরে জেলা জুড়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনার দ্বিতীয় বা বুস্টার ডোজ় নিতে গিয়ে অনেকে ফিরে যাচ্ছেন। রায়গঞ্জের রবীন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘করোনার সংক্রমণ না থাকায় এত দিন বুস্টার ডোজ় নিইনি। কিন্তু ফের দেশে সংক্রমণ বাড়ার কারণে করোনা থেকে বাঁচতে সোমবার রায়গঞ্জ মেডিক্যালে বুস্টার ডোজ় নিতে গিয়েছিলাম। প্রতিষেধক না থাকায় ফিরে আসতে বাধ্য হই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement