Coronavirus in West Bengal

ধোঁয়া আর পানের পিকে ত্রস্ত শহর

করোনা-মরসুমে যা দেখে আঁতকে উঠছেন শহরের লোকজন। অথচ যাঁদের নিয়ে এত চিন্তা সেই নেশাড়ুদের কোনও হেলদোল নেই বলেই অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২০ ০৫:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিড়ি-সিগারেটে রক্ষা নেই, দোসর হয়েছে পান ও গুটখা!

Advertisement

নিট ফল, শহরের যত্রতত্র উড়ছে ধোঁয়া আর ছিটকে আসছে লালচে থুতু। করোনা-মরসুমে যা দেখে আঁতকে উঠছেন শহরের লোকজন। অথচ যাঁদের নিয়ে এত চিন্তা সেই নেশাড়ুদের কোনও হেলদোল নেই বলেই অভিযোগ।

ভরদুপুরে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আশেপাশে গুটিকয়েক মানুষের জটলা। তাঁদেরই একজনের হাতে রয়েছে গুটখার প্যাকেট। একটু দূরেই পান চিবোতে চিবোতে হাঁটছেন এক ব্যক্তি। মাঝেমধ্যেই কোনও কিছুর পরোয়া না করে তিনি প্রকাশ্যেই থুতু ফেলছেন। মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে বারবার সতর্ক করার পরেও অনেকে মানছেন না। পুলিশ সকাল থেকে রাস্তায় নেমে এ দিন গুটখা নিয়ে সতর্ক করেছেন অনেক বাজারেই। মাস্ক না থাকায় অনেককে কান ধরে উঠবোসও করিয়েছে। তার পরে ছবিটা বদলায়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার রাজীব প্রসাদ বলেন, “এমন অভিযোগ প্রতিনিয়ত আমরা পাই। তা নিয়ে সতর্কও করা হয়। তার পরেও ছবিটা পাল্টায় না। এ বার করোনাভাইরাসের বিষয়ে সচেতনতায় বারবার ওই বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।” একে তো গুটখা আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার উপরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ায় আরও বেশি করে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর তো বটেই পুলিশ-প্রশাসনও সতর্ক করেছে। তার পরেও বেশ কিছু লোকজনের বেপরোয়া মনোভাব চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। কোচবিহার জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সকালের দিকে কোচবিহারে আনাজ ও মুদির দোকান খোলে। দুপুরের আগেই সব বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময়ের মধ্যে কোচবিহার শহর ও লাগোয়া এলাকায় বেশ কিছু পানমশলা ও গুটখার দোকানও খুলে বসে। অভিযোগ, ওই দোকানগুলি থেকেই কয়েক ঘণ্টায় দেদারে উড়ে যায় গুটখা, পানমশলা ও সিগারেট-বিড়ির প্যাকেট। কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও তিনগুণ দামে ওই সব জিনিস বিক্রি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নাগাড়ে সতর্ক করা হচ্ছে, এই সময় মুখ মাস্কে ঢাকা রাখতে হবে। বাইরে বেরোনো অবস্থায় নাকে-মুখে-চোখে হাত দেওয়া যাবে না। কিন্তু কে শোনে কার কথা! প্রকাশ্যে রাস্তাতেই ধূমপান, গুটখার নেশা চলছেই। এমন অবস্থা বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “যাঁরা এমন করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। জেলার প্রত্যেকটি মানুষ যাতে সুস্থ-সবল থাকেন সে দায়িত্ব কিন্তু সবার।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement